বিএনপির দশ জনসহ ২৪ মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন
ডেস্ক রিপোর্টঃ দলীয় প্রতীকে সারাদেশে ২৩৪টি পৌরসভার নির্বাচন চলছে। বুধবার সকাল আটটা থেকে ভোট শুরুর আগে ও পরে ব্যাপক অনিয়ম-গোলযোগের ভেতর অনেক কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
ক্ষমতাসীনদের ভোটকেন্দ্র দখল ও অন্যায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পৌরসভার মেয়র প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, সারাদেশে অন্তত ২৪ জন মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে পৌরসভার ভোট বর্জন করেছেন। এর মধ্যে বিএনপির মেয়র প্রার্থী রয়েছেন ১০ জন, জাতীয় পার্টির একজন ও আওয়ামী লীগের একজন রয়েছেন। বাকিরা স্বতন্ত্র ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ বাহাদুর, রাঙুনিয়ার বিএনপি প্রার্থী মো. হেলাল উদ্দিন খান, নরসিংদীর মনোহরদি পৌরসভার বিএনপির মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হক, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ভিপি আব্দুর রহিম, টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিএনপির সরকার শহীদুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির এবিএম জিলানী, নড়াইলের কালিয়ায় বিএনপির এসএম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু, মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল ইসলাম সংগ্রাম, জামালপুর পৌরসভার জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী খন্দকার হাফিজুর রহমান বাদশা এবং বরগুনার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়া চট্টগ্রামের রাউজান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, টাঙ্গাইলের মধুপুর ও রাজবাড়ির পাংশায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পটুয়াখালির কুয়াকাটা, মুন্সীগঞ্জ সদর, ঢাকার ধামরাই, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ও ভোলা সদরে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থীরা কেন্দ্র দখল, জাল ভোটসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
ভোটকেন্দ্র দখল ও জাল ভোট দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোট বর্জন করেছেন সন্দ্বীপ পৌরসভা নির্বাচনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ বাহাদুর ও রাঙুনিয়ার বিএনপি প্রার্থী মো. হেলাল উদ্দিন খান।
এ সময় নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার দাবিও জানান তারা।
সন্দ্বীপ প্রার্থী আজমত উল্লাহ বাহাদুর বলেন, বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তারা কেন্দ্র থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। জাল ভোট দিচ্ছে। এভাবে নির্বাচন হতে পারেনা। তাই আমি এ নির্বাচন বর্জন করেছি।
বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এ বি এম জিলানী। তিনি নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র দখল করে নেওয়ায় ও তার এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ায় তিনি নির্বাচন বর্জন করছেন।
জামালপুর পৌরসভায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী খন্দকার হাফিজুর রহমান বাদশা। বুধবার সকালে জামালপুর জেলা স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এদিকে, বরগুনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর দাপটে নির্বাচন বর্জন করেছেন সদর পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ। বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনের লোকজনের সাথে সংঘর্ষের পর প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিরূপ আচরণের অভিযোগ এনেছেন তিনি।