চাঁদপুরে কিশোরীকে ২ দিন আটকে রেখে গণধর্ষন
ডেস্ক রিপোর্টঃ চাঁদপুর খলিশাডুলি ফয়সাল ফিলিং ষ্টেশনের পাশের মোল্লা বাড়িতে এক কিশোরীকে জোর পূর্বক আটকে রেখে ২ দিন ধরে ধর্ষণ করেছে লম্পটরা। এ ঘটনায় ২ ধর্ষণকারীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ধর্ষিতার বাবা মানিক ফকির বাদি হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছে। এতে আসামী করা হয়েছে ধর্ষক সিএনজি চালক রাহুল খান সোহাগ (২২) ও শরীফ পাটওয়ারী (২৬) কে।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার ব্রহ্মপাড়ার কাঞ্চনপুর চৌধুরী বাজার সংলগ্ন আমিনউদ্দিন বাড়ির মানিক ফকিরের কিশোরী মেয়ে কিছুদিন পূর্বে তার নানা শহীদুল্লার বাড়ি নোয়াগাও গ্রামে বেড়াতে যায়। গত বুধবার সকালে কিশোরী অভিমান করে ভাত না খাওয়ার কারনে তার মামা বশির গালমন্দ করে। বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে। এসময় কিশোরী বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রামগঞ্জ কাটাখালির বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় আসলে চাঁদপুর শহরের শিলন্দিয়া গ্রামের এছহাক খানের ছেলে সিএনজি চালক রাহুল খান সোহাগ তাকে একা পেয়ে জোর করে সিএনজিতে তোলে। এসময় কিশোরী চিৎকার করলে বাড়ি পৌছে দেওয়ার সান্তনা দিয়ে রাহুল মতলবের মুন্সির হাটে তার এক পরিচিত আত্বিয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রাতভর ঐ বাড়ির আরেক ছেলেসহ পালাক্রমে কিশোরীকে ধর্ষন করে। ওই বাড়িতে একদিন রেখে পরের দিন বৃহস্পতিবার রাহুলের বন্ধু বাবুরহাট সেনগাঁও গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে শরীফ পাটওয়ারী ভাড়া বাসা খলিশাডুলি ফয়সাল ফিলিং ষ্টেশনের পাশের মোল্লা বাড়িতে এনে পুনরায় ২ জন মিলে ধর্ষণ করে।
ধর্ষিতা কিশোরীর আর্তচিৎকারে পাশের বাসার লোকজন টের পেয়ে এলাকার যুবকদের সাথে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় শরীফ পাটওয়ারীকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে।