সিংহের মুখ থেকে যুবকের বেঁচে ফিরে আসার অবাক ভিডিও

60401ডেস্ক রিপোর্টঃ সিংহের আক্রমন থেকে যুবকের বেঁচে ফেরার অবাক ভিডিও নিয়ে আজকের প্রতিবেদনঃ স্পেন এর একটি শহর বার্সেলোনা এর কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানার সিংহের খাঁচায় ঢুকে যাওয়া হস্তো হুসে (৩৫) নামের এক যুবক উপর্যুপরি তিনটি সিংহের আক্রমন প্রতিহত করে মুক্ত হয়েছেন। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভুল করে সিংহের খাঁচার ভিতরে পরে যান এই যুবক। তাৎক্ষনিকভাবে একটি সিংহ তাকে আক্রমন করে বসে। তাকে আক্রমন করতে দেখে আরো দুটি সিংহ দৌড়ে আসে। মারাত্নক জখম অবস্থাতে যুবককে হাসপাতল-এ ভর্তি করা হয়েছে। তবে ডাক্তাররা জানিয়েছেন যুবকের অবস্থা গুরুতর নয়। প্রতিবেদনের বিস্তারিত অংশে বলা হয়, পরিবারের সবাই মারা যাওয়ায় ওই যুবক প্রচন্ড মনোকষ্টে ভুগছিলেন। তাই তিনি আত্নহত্যার জন্য নিজের ইচ্ছায় সিংহ-এর খাঁচার ভিতরে ঝাপ দিয়েছিলেন। এছাড়াও তার একাকিত্ব নিয়ে অধিকাংশ বন্ধু বান্ধবরাও বিশেষ কোন সহযোগিতা করেনি। তবে দু একজন কাছের বন্ধুবান্ধবের সাহায্যে তিনি চলছিলেন। নিজের মালিকানাধীন বাড়ি থাকার পরও মনের অশান্তির কারনে রাস্তায় রাত্রি যাপন করতেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রবিবার বিকেলে এই যুবক সেনা বাহিনীর পোশাক পড়ে চিড়িয়াখানায় সিংহ এর খাচায় ঢুকে পরেন। প্রথমে তিনি খাচার রেলিং বেয়ে উপরে উঠে তারপর লাফ দেন। লাফ দেয়ার সাথে সাথে একটা সিংহ এসে থাবা বসিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। পরবর্তীতে আরো দুটা সিংহ তাকে ধরার উদ্দেশ্যে আসলে তিনি প্রান বাঁচাতে সিংহ সহ পানির ভিতরে ঝাপ দেন। পানির ভিতরে সিংহ বিশেষ সুবিধা করতে না পারায় তিনি সিংহের হাত থেকে বেঁচে যান। এভাবে সারভাইভ করার প্রায় ত্রিশ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিস এর লোকজন তাকে খাঁচা থেকে উদ্ধার করে ডিলাভ্যালডি হেবরন হাসপাতাল-এ ভর্তি করেন।
তবে চিড়িয়াখানা এর নির্বাহী কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানা যায়, আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে সিংহটি যুবকটিয়ে নিয়ে খেলা করতে চেয়েছিলো। কারন হত্যা করতে চাইলে মাথায় কামড় বসিয়ে দিহো। এদিকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল আসার আগে চিড়িয়াখানার নিয়োজিত কর্মচারীরা এই সময়ে সিংহের গায়ে প্রচন্ড পানির ফোর্স এবং ঘুম এর ঔষধ ছিড়িয়ে নিবৃত করার চেষ্টা করেছে। প্রতিবেদনে আরো জানা যায়, এই যুবক একজন ইহুদি বিরোধী নাৎসি মেম্বার। তাকে মাত্র ১ মাস আগে রাস্তা থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল থেকে পুলিশ আটক করেছিলো।