“নবীগঞ্জে অবাধ সুষ্ট নির্বাচন হবে বলে আমি আশাবাদী–জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম
নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নবীগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচন আচরন বিধিমালা ২০১৫ প্রতিপালন ও আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে গতকাল বিকেলে উপজেলা পরিষদের মিলনাতনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পৌর নির্বাচনের সকল মেয়র, সাধারন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীরা অংশগ্রহন করেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার জয় দেব কুমার ভদ্র, এডিএম মো: এমরান হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল বাতেন খাঁন। মত বিনিময় সভার সার্বিক তত্বাবধায়নে ছিলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আবু ছাইম।
নির্বাচন আচরন বিধিমালা প্রতিপালন ও আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামীলীগ মনোনিত মেয়র মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপির ছাবির আহমদ চৌধুরী, স্বতন্ত্র জাহাঙ্গীর আলম রানা, জাপা মাহমুদ চৌধুরী, স্বতন্ত্র জোবায়ের চৌধুরী। কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- যুবরাজ গোপ, শাহ রিজভী আহমদ খালেদ, আব্দুস সালাম, শাহনুর আলম ছানু। এসময় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছাবির আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে টাকা বিতরনের অভিযোগ তুলে ধরেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম রানা।
সকল প্রার্থীর বক্তব্য শুনে প্রধান অতিথির বক্তব্য জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম বলেন- আমি আশাবাদী নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অবাধ সুষ্ট হবে। তিনি বলেন- কোন প্রার্থীর যদি নির্বাচনী ব্যাপারে কোন অভিযোগ থাকে তা সাথে সাথে জানাতে হবে এবং যদি কোন প্রার্থী নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে তাহলে নির্বাচন আচরন বিধির ধারা অনুযায়ী প্রশাসন আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করবে। পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষে র্যাব পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েনের কথাও বলেন তিনি।
টাকা বিতরনের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার বলেন- কে কখন কোথায় টাকা বিতরন করছে তা প্রশাসনের পক্ষে এটা মনিটরিং করা সম্ভবনা না। প্রার্থীদের ও তাদের সমর্থকদের নজর রাখতে হবে অন্য প্রার্থীরা কে কোথাও টাকা বিতরন করছে কিনা, যদি করে থাকে তা সাথে সাথে আমাদেরকে জানাতে হবে।
তিনি বলেন- পৌরসভা নির্বাচনের জন্য মোবাইল কোর্ট রয়েছে যদি কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা বিতরন বা অন্যান্য কোন অভিযোগের খবর দেয় তাহলে সাথে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি বলেন- নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রতে ৬জন পুলিশ ও ২টিম আনসার বাহিনীর টিম থাকবে। ১০টি কেন্দ্রে ১০টি মোবাইল কোর্ট টিম থাকবে। এবং ১০ দস্যের স্টাইক টিম, ১টি ব্যাব টিম, বিজিবি টিম থাকবে।