ভাইকে বিদেশ রেখে প্রতারনা ও গুমের মামলা : তোলপাড়
সিলেটে বড়ভাইকে বিদেশ রেখে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে প্রতারনা ও গুমের মামলা। মামলার খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য ও তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভিকটিমের স্ত্রী এবং মা-ও এ মামলায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
সিলেট এয়ারপোর্ট থানাধীন চাতল মৌলাটিকর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর পুত্র আহমদ আলী হেলাল গত ৬ ডিসেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে একটি দরখাস্ত মামলা (নং-২৮৬/১৫) দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করেন, একই এলাকার চাতল গ্রামের তাহির আলী ও সমসিদ আলী সম্প্রতি তার বড়ভাই রফিক আমদকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে তাদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা গ্রহন করেন। পরে গত ৫ মে তার রফিক আহমদকে সৌদীতে ফাইট দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে গুম করে ফেলেন। তখন থেকে অদ্যাবধি দেশে ও বিদেশে রফিক আহমদের কোন খোজ পাচ্ছেন না তার পরিবার। আদালত তদন্তক্রমে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মামলাটি সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় প্রেরন করেন।
জানা গেছে, আজ থেকে প্রায় ২০বছর আগে সিলেট এয়ারপোর্ট চাতল গ্রামের শাহীন আহমদ নামে একটি ভিসা আসে সৌদী আরব থেকে। ইত্যবসরে শাহীন মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে নিখোজ হয়ে গেলে এ ভিসায় আর তার সৌদী যাওয়া হয়নি। পরে ভিসাটি খরিদ করে শাহীন নামে সৌদী আরবে চলে যান একই এলাকার মৌলাটিকর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর পুত্র রফিক আহমদ। ভিসায় থাকা শাহীন আহমদ নামে পাসপোর্ট নবায়ন ও পুনঃগ্রহন করে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে সৌদী আরবে অবস্থান করছেন রফিক। সৌদী থেকে দেশে এসে বিবাহ করে বর্তমানে তিনি তিন সন্তানের জনক। এ ভিসা ও পাসেপোর্টে রফিক বার বার দেশে আসা-যাওয়া করে থাকেন। চলতি বছরের মাঝামাঝিতেও রফিক আহমদ দেশে এসে মাসখানেক অবস্থান করেন এবং গত ৭ অক্টোবর তিনি আবার সৌদী আবরে চলে যান। রফিক নিখোজ নন তিনি বহাল তবিয়তে সৌদী আরবে কর্মরত রয়েছেন এবং দেশের বাড়িতে থাকা স্ত্রী সন্তান ও মার সাথে সদা ফোনে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন । বর্তমানে রফিক সৌদী আরবের জেদ্দানগরীর হালাকা নামক স্থানে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রফিকের স্ত্রী মরিয়ম বেগম। তবে তিনি রফিক নামে নয় শাহীন নামে সেখানে আছেন এবং তার দেবরের দেয়া মামলা মিথ্যে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, পার্শ্ববতী চাতল গ্রামের তাহির আলী ও সমসিদ আলীর সাথে চাতলবাজারে মার্কেট নির্মান নিয়ে প্রবাসী রফিকের ছোটভাই আলী আহমদ হেলালের বিরোধ রয়েছে। রফিক আহমদ অন্য নামে বিদেশ থাকার সুযোগে আলী আহমদ টাকা আত্মসাত ও তার ভাই রফিক আহমদকে গুম করা হয়েছে মর্মেএ মামলা করেছ. মামলাটি সম্পূর্ন মিথ্যে ও হয়রানীমূলক করে। তার পরিবােেরর অন্যান্য সদস্যরা জানিয়েছেন। খোদ রফিকও মোবাইল ফোনে (+৯৬৬৫৪৪৯৬৩৯১৩) তিনি নিখোঁজ নন এবং মামলাটি মিথ্যা বলে পুলিশসহ পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন। সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ওসি গৌছুল হোসেন জানান, বাদী আলী আহমদ হেলালের কোর্ট মামলাটি পেয়ে তিনি তদন্ত করছেন ।