যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বাংলাদেশী বন্দিকে জোর করে খাওয়ানোর অনুমতি
প্রবাস ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় তিন সপ্তাহ ধরে অনশনে থাকা ১০ বাংলাদেশী বন্দীকে জোর খাওয়াতে কর্তৃপক্ষের একটি আবেদন মঞ্জুর করেছে একটি কেন্দ্রীয় আদালত। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি ও স্পুটনিক। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে অনশন ধর্মঘট পালন করা ওই বন্দীদের জোর করে খাওয়ানোর আবেদন করেছিল ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। ২রা ডিসেম্বর থেকে ১০ বাংলাদেশী পুরুষ বন্দী অনশন শুরু করেন। সোমবার পর্যন্ত তাদের ৭ জন খাবার খেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
আদালত কক্ষে তাদের হুইলচেয়ারে করে নেয়া হয়েছিল। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বন্দীদের জোরপূর্বক রক্ত দেয়া ও অন্যান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার অনুমতি চেয়ে আদালতে পিটিশন দায়ের করেছিল। মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট জাজ সেসিলা আল্টোনাগা ওই পিটিশন মঞ্জুর করেছেন। সোমবার আদালত বন্দীদের জীবন রক্ষার্থে প্রয়োজনে মেডিকেল কর্মীদের দিয়ে জোর করে নাকে পাইপের মাধ্যমে খাওয়ানোর অনুমতি দিয়েছে। আদালত বলেন, জোর করে না খাওয়ানো হলে তাদের বাঁচার সম্ভাবনা কম। একজন অনুবাদকারীর মাধ্যমে আবদুল আওয়াল (২১) নামে এক বন্দী প্রশ্ন করেন, ‘তারা কতদিন আমাদের জোর করে খাওয়াবে? আমরা মরতে প্রস্তুত আছি।’
অভিবাসন বন্দিশিবিরের ডাক্তার ডালিয়ান কারাবালো স্বাক্ষ্য দেন যে, ওই বাংলাদেশী বন্দীদের আকস্মিক কোন বিপদ নেই। কিন্তু তারা যদি অনশন চালিয়ে যায়, তবে তাদের মারাত্মক ক্ষতি হওয়া ও স্থায়ী স্বাস্থ্যগত জটিলতা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে অনশন চালিয়ে যাওয়া ৭ জন বন্দী প্রত্যেকে ১৫ শতাংশ ওজন হারিয়েছেন। আওয়াল বলেন, বাংলাদেশের দুর্দশার কারণে তিনি ও অন্য বন্দীরা যুক্তরাষ্ট্রে সুযোগের সন্ধানে গিয়েছেন। দেশে ফেরত পাঠানো হলে মৃত্যু হতে পারে বলে শঙ্কা তাদের। তিনি বলেন, তার চেয়ে বরং আমরা এখানেই মারা যাব। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে টেক্সাসের হিডালগো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টাকালে এ বাংলাদেশীদের আটক করা হয়।