মৌলভীবাজারে টিপু মেম্বারের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজারে ৮নং মনসুরনগর ইউপি’র ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার টিপু সুলতান তালুকদারের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে আজ ২১ ডিসেম্বর দুপুরে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসকাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই এলাকার সায়মন ধান ভান্ডার’র স্বত্ত্বাধিকারী বিনয়শ্রী গ্রামের মোঃ মস্তরী মিয়া’র পুত্র মোঃ বাবুল মিয়া। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান- কতিপয় ভাড়াটে লোকজনকে এলাকাবাসী সাজিয়ে একই এলাকার মৃতঃ মাছিম উল্লাহর নাতি ও মৃতঃ কনর উল্লাহর পুত্র ৮নং মনসুরনগর ইউপি’র ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার টিপু সুলতান তালুকদার গত ১২ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার প্রেসকাবে তার বিরুদ্ধে নানা কিচ্ছা-কাহিনী উল্লেখ করে সম্মানীত সাংবাদিকবৃন্দকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াশ চালিয়েছেন। টিপু গত ইউপি নির্বাচনে অর্থ ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে ইউপি মেম্বার নির্বাচিত হবার ২ মাস যেতে না যেতেই তার সহযোগীদের সহায়তায় রাতের আঁধারে কুলাউড়া-মৌলভীবাজার সড়কের কদমহাটা এলাকায় সরকারী গাছ নিধন করে কালীবাড়ীর সামনে জমা করলে এলাকার সেলিম নামীয় ব্যক্তির মাধ্যমে খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশসহ ফরেষ্ট অফিসের লোকজন এসে তা আটক করেন এবং সে সময় তার বিরুদ্ধে মামলা হলে স্থানীয় মুরব্বিগনের সহযোগীতায় কদমহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সালিশে নতুন মেম্বার বিবেচনায় তাকে তিরস্কার করে অব্যাহতি দেয়া হয়। দক্ষিন উত্তরমুলাইম গ্রামের আনছার মিয়ার বাড়ীতে ডাকাতি করতে গিয়ে উক্ত টিপু সুলতান ও তার সহযোগীরা জনতার হাতে ধরা পড়েন এবং জনতা গনপিটুনী দিয়ে তাদেরকে মৌলভীবাজার মডেল থানায় সোপর্দ করেন। এক দিন ও এক রাত্রি থানা হাজতে থাকার পর ৮নং মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত তাদেরকে জামিনে নিয়ে এসে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নেছার আহমদ, ৭নং চাঁদনীঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদশা, ৬নং একাটুনা ইউপি চেয়ারম্যান আবু ছুফিয়ানের উপস্থিতিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন। ইউনিয়নের বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ইত্যাদির জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫শ টাকা হারে আদায় করে কার্ড বিতরন করার অনেক অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে। গত ৬ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে আশ্রাকাপন মৌজার মছব্বির মিয়ার লিজ নেয়া গাছ চুরি করে কেটে নেয়ার সময় টিপু সুলতান হাতেনাতে ধরা পড়লে রাজনগর থানার পুলিশ তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যান এবং সেখানে একই ইউপি’র অপর মেম্বার তছকির মিয়ার সুপারিশের প্রেক্ষিতে তাকে ১০ মিনিটের জন্য ছেড়ে দিলে তিনি পালিয়ে যান এবং সেই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে (নংÑ ০৬, তারিখ ঃ ০৬/১২/২০১৫ইং) সঙ্গীয় অপর চোর রাহেল ও রাজু বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। টিপু সুলতান তারই চাচা মোঃ কয়ছর মিয়ার স্বত্ব দখলীয় ভূমির মালিকানা দাবী করে আসছেন। কদমহাটা গ্রামের মৃতঃ ওয়াতির উল্লাহর পুত্র হতদরিদ্র আনজব আলীর আড়াই শতক ভূমি একই গ্রামের মৃতঃ ফরিদ উল্লাহর পুত্র গিয়াস মিয়া জবরদখল করে নেয়ার ঘটনায় টিপু সুলতান মেম্বার মধ্যস্থতার নামে আনজব আলীর ২০ হাজার টাকা আতœসাৎ করেন। এ ঘটনায় ৮নং মনসুরনগর ইউপি’র গ্রাম আদালতে মামলাও হয়েছিল। তার স্ত্রীর সাথে তারই বড়ভাই কালামের অবৈধ সর্ম্পক থাকার কারনে বড়ভাই কালামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তিনি। তার পরিবাবের লোকজনের ভাবমুর্ত্তিও অত্যন্ত উজ্জল। তার বড়বোন নাজমা ছাত্রী থাকাবস্থায় কদমহাটা স্কুলের প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক ২ সন্তানের জনক সিরাজুল ইসলামের হাত ধরে রাতের আঁধারে পালিয়ে যান এবং ঐ শিক্ষকের এহেন আচরনের কারণে স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়। তার ছোটবোন পপিও একইভাবে রাতের আঁধারে একজনের হাত ধরে পালিয়ে যায়। গত ১২ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার প্রেসকাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টিপুর দেয়া বক্তব্যের কোন প্রকার সত্যতা ও বস্তুনিষ্টতা নেই দাবী করে বাবুল জানান- তার পরিবারের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যেই উক্ত সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। টিপু’র মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাবুল, এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেন এবং সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- মছব্বির মিয়া, মোঃ আবুল কালাম গিয়াস, কয়ছর মিয়া, ফয়ছল মিয়া ও নুরুল ইসলাম মনাই।