বাড়িওয়ালার ছেলে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার বিজয়ের
ডেস্ক রিপোর্টঃ জাতীয় দলের ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয় কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালার ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা নিয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা অস্বীকার করে বলেছেন, একটি মহল তার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য এই খবর পরিবেশন করেছে।
কুষ্টিয়া আড়ুয়াপাড়ার গৌরিশংকর আগারওয়াল সড়কের হাজী আব্দুল হালিমের ছেলে মোতালেব হোসেন বাপ্পি মিডিয়ার কাছে অভিযোগ করেছিলেন, রবিবার গোডাউনে তালা মারার প্রতিবাদ করায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয় ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেছেন ।
তিনি বলেন, এনামুল হক বিজয়ের বাবা যে বাড়িতে থাকেন। সেই বাড়ির নিচতলায় গোডাউনে তালা মারা নিয়ে বিজয়ের বাবা ও বাড়িওয়ালার ছেলে বাপ্পির মাঝে বাকব্িতণ্ডা হয়। এ ঘটনার পর বিজয় তার বন্ধু বান্ধব নিয়ে বাপ্পিকে মারধর করার পর পালিয়ে যান।
এই অভিযোগের প্রতিবাদ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়। তিনি বলেন, ‘আমার বা আমার পরিবারের বিপক্ষে যে খবর রটানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করতেই এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তা না হলে ঘটনার পর মাফ চাওয়ার পরও কেন এমন রটনা হবে। নিশ্চিত করে বলতে পারি একটি মহল তাদেরকে ইন্ধন যোগাচ্ছে।
বিজয় সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, গোডাউনে তালা মারা নিয়ে বাড়িওয়ালার ছেলে বাপ্পি আমার বাবার সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করে। বৃদ্ধ বাবা বাপ্পির অভদ্রোচিত ব্যবহারে মনে খুবই কষ্ট পেয়েছেন। একজন মুরুব্বির সাথে এ ধরনের আচরণ কখনোই কারো কাম্য নয়। তার খারাপ ভাষা ও খারাপ আচরণের বর্ণনা দিতে গিয়ে বাবা কেঁদে ফেলেন। কোনো সন্তান কি বাবার চোখের পানি কিভাবে সহ্য করতে পারে? মীমাংসার জন্য বাড়িওয়ালার ছেলেকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে নিজের ভুল বুঝতে পেরে সকলের সামনে ক্ষমা চায়। তার পরিবারের পক্ষ থেকেও বিষয়টি ক্ষমার জন্য বলা হয়। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর দ্বিতীয়বার হবে না বলেও তারা অনুতপ্ত হয়।
তিনি বলেন, আমরা চলে আসার পর পত্রিকা মারফতে জানতে পারি তারা এ বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করছে। আমাদের বিরুদ্ধে নিশ্চই অন্য কেউ তাদেরকে উস্কানি দিচ্ছে। তাদেরকে মারা হয়নি। অথচ লিখা হয়েছে রক্তাক্ত করা হয়েছে। ওরা মাফ চেয়েছে। তারপরও বলা হয়েছে আমরা পালিয়ে এসেছি। এধরনের রিপোর্ট করার আগে অন্তত একটিবার ঘটনা সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিল।