চুনারুঘাটে সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ পিলার বসানোকে কেন্দ্র করে চা-শ্রমিকদের সশস্ত্র অবস্থান
এম এস জিলানী আখনজী, চুনারুঘাট থেকে ॥ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুর চা-বাগান এলাকায় ইকোনোমিক জোন স্থাপনের সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ পিলার বসানোকে কেন্দ্র করে লস্করপুর ভ্যালির চা-শ্রমিকরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অবস্থান করে। রবিবার সকাল থেকে সারাদিন উত্তেজিত চা-শ্রমিকরা প্রস্তাবিত ইকোনোমিক জোন স্থাপনের জমিতে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানায়। এতে বক্তব্য রাখেন, কয়েকটি বাম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও চা শ্রমিক নেতারা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও বাসদ নেতা আহম্মেদ আলী, সুফিয়া মজুমদার আলেয়া, কমরেড হাসান, কমরেড শফিকুল ইসলাম, ভূমি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অভিরত বাকতি, শ্রমিক নেতা স্বপন সাওতাল, চা শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ন-সাধারণ স¤পাদক নৃপেন পাল, চান্দপুর চা-বাগানের পঞ্চায়েত স্বপন সাওতাল, কাঞ্চন পাত্র, সূর্য কুমার, সাধন সাঁওতাল, লক্ষীচরণ বাকতিসহ স্থানীয় চা-শ্রমিক অসংখ্য নের্তৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, শ্রমিকের মুখে ভাত কেড়ে নিতে দেব না এই শ্লোগানে মুখোরিত হয়ে উঠে জোন এলাকা। আমাদের দাবি চান্দপুর চা বাগান ও বেগমখান চা বাগানের ধান্য জমিতে ইকোনমিক জোন স্থাপন না করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন কামনা করেন। আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকেই এই জমিতে ফসল করে আসছি। রক্ত দেবো, তবোও আমাদের জীবন থাকতে এই জমি দেব না। আমরা এদেশ স্বাধীন করেছি, অনেক চা শ্রমিক শহীদ হয়েছে, দেশের জন্য চা শ্রমিকের অনেক অবদান রয়েছে। অনতিবিলম্বে ইকোনোমিক জোন স্থাপন বন্ধ করে শ্রমিকদের শান্তি ফিরিয়ে দিতে তারা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর সীমানা পিলার বসানো নিয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, দেশে উন্নয়নের স্বার্থে চুনারুঘাট ইকোনোমিক জোন স্থাপন করা হচ্ছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এ বিষয়ে চা-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে বার কয়েক পরামর্শ সভা হয়েছে। অপরদিকে চা-বাগানের শ্রমিক নের্তৃবৃন্দ শুরু থেকেই ইকোনমিক জোন অন্যত্র স্থাপন করাসহ নানাবিধ সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করে আসছে।