কুলাউড়া পৌরসভার ২ বারের নির্বাচিত মেয়র জুনেদ পেশায় কৃষক !
বিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন চুড়ান্ত লড়াইয়ে। এই ৪ প্রার্থীর মধ্যে ৩জনই ব্যবসায়ী। এরমধ্যে সবচেয়ে ধনী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আর গরীব জাতীয় পার্টির প্রার্থী। দু’বারের নির্বাচিত মেয়র ও বিএনপি প্রার্থীর পেশা কৃষি। নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামা থেকে জানা গেছে প্রার্থীদের এসব তথ্য।
পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম সফি আহমদ, বিএনপির প্রার্থী বর্তমান মেয়র কামাল উদ্দীন আহমদ জুনেদ, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মোঃ মুহিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলহাজ শফি আলম ইউনুছ। হলফনামায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম সফি আহমদ সলমান উল্লেখ করেন মেসার্স আহমদ কনস্ট্রাকশন নামে তার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি এম,এ পাস। ব্যবসা থেকে তার আয় বছরে ১৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। নিজের নামে একটি বাড়ি, ৩ একর কৃষি জমি, ৩০ শতক অকৃষি জমি ও ৩টি দালান রয়েছে। কৃষি খাত থেকে তিনি বছরে ১০ হাজার এবং বাড়ি ভাড়া থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আয় করেন। ব্যাংকে নিজের নামে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে ৩টি গাড়ির মালিক।
বিএনপির প্রার্থী ও টানা দু’বারের নির্বাচিত মেয়র কামাল উদ্দিন হলফনামায় নিজের পেশা কৃষি বলে উল্লেখ করেছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস। নিজের নামে ৩৬ শতক, স্ত্রীর নামে ৫ শতক, নির্ভরশীলদর নামে ৯ শতক ও যৌথ মালিকানায় ৬১ শতক জমি আছে। কৃষি খাত থেকে বছরে আয় ৫০ হাজার টাকা এবং বাড়ি ভাড়া থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া ব্যাংক আমানত থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আয় করেন। ব্যাংকে তার ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জমা আছে। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রয়েছে ৬৩ হাজার টাকা। যৌথ মালিকানায় একটি বাড়ি আছে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শফি আলম ইউনুছ সবচেয়ে বেশি সম্পদশালী বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। জেলার শ্রেষ্ট করদাতার বছরে আয় ৭০ লাখ ২৭ হাজার ৫৭০ টাকা। শিক্ষাগত যোগ্যতা অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন এবং পেশায় ব্যবসায়ী। ইটভাটা, পরিবহনসহ আরও কিছু ব্যবসা রয়েছে। এসব ব্যবসা থেকে বছরে তার আয় ৪৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯০ টাকা। বাড়ি ভাড়া থেকে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৮৮০ টাকা, ব্যাংক আমানত থেকে ২০ লাখ টাকা ও কৃষি খাত থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন। ব্যাংকে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা জমা আছে। নগদ টাকা আছে ১ কোটি ৫৫ লাখ ২৪ হাজার ৯০৪ টাকা। স্ত্রীর নামে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার আছে। ৬টি ট্রাক, একটি জিপ ও একটি মোটরসাইকেলের মালিক তিনি। একটি হাতিও রয়েছে। নিজের নামে ৩০ শতক কৃষি জমি, ২টি দালান ও ৪২ শতকের বাড়ি আছে। তবে ব্যাংকে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিজের নামে ঋণ আছে।
জাপার প্রার্থী মুহিবুর রহমান একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাশ। ব্যবসা থেকে বছরে আয় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। নিজের নামে ৩০ শতক কৃষি জমি ও ২১ শতকের একটি বাড়ি আছে। ব্যাংকে নগদ এক লাখ টাকা জমা আছে।