সিলেটের অর্থনৈতিক অঞ্চলে অধিগ্রহণকৃত ভূমির মূল্য নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ
বিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রস্তাবিত সিলেট অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইপিজেড) এর জন্য অধিগ্রহণকৃত ভূমির মূল্য বৈষম্য নিয়ে অভিযোগ করলেন ভূমির মালিকরা। সরকার ঘোষিত মূল্য নির্ধারন করা হলেও রহস্যজনক কারণে ভূমির রকম নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে বিমাতা সুলভ আচরণ করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে এলাকার ভুমি মালিকদের মধ্যে ক্রমশ অসন্তেুাষ দাঁনা বাঁধছে। ভূমির মূল্য বৈষম্যের পরিবর্তে সমতা নির্ধারিত না হলে তারা প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলেও জানান।
১২ ডিসেম্বর (শনিবার) দুপুরে জেলা মৌলভীবাজার প্রেসকাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুমি মালিকদরে পক্ষ থেকে বলা হয়, ইপিজেড স্থাপনে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু যে ভূমি মালিক তার বাস্তÍভিটা হারাচ্ছেন, তাদেরকে ন্যায্য মূল্য দিতে হবে।
তাদের মতে, হালনাগাদ বি এস রেকর্ড অনুসরণ না করে ১৯৫৬ সনের এস এ রেকর্ডের আলোকে অধিগ্রহণ কৃত জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ ৫৬ বছরে জমির শ্রেণী পরিবর্তন ঘটেছে অনেক।
ধানি জমিতে গড়ে উঠেছে বাড়ি ঘর। এক ফসলি বোনা আমন ভূমি হয়েছে ২ ফসলি জমি। এবিষয়টিকে মূল্যায়ন না করে অনুমান নির্ভর মূল্য নির্ধারণ করেছেন কর্তৃপক্ষ। ফলে বর্তমান বাজার দরের সাথে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত মূল্যের রয়েছে বিস্তর গড়মিল। তাছাড়া এলাকা ভিত্তিক বৈষম্যও রয়েছে।
ইপিজেট এলাকা ভুক্ত ব্রাহ্মণগাঁও এবং শেরপুর মৌজা সিলেট মহাসড়ক লাগোয়া পাশাপাশি দুই গ্রাম। এ দুই গ্রামে ৩৫২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তার মধ্যে শেরপুরের ২৯২ একর জমির এক দাম এবং ব্রাহ্মণগাঁও এর ৬০ একর জমির অন্য দাম ধরা হয়েছে। শেরপুরে প্রতি শতক জমির দাম ধরা হয়েছে ৯৮ হাজার টাকা এবং ব্রাহ্মণগাঁওয়ে প্রতি শতক জমির দাম ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। এ মূল্য বৈষম্যের পিছনে রয়েছে রহস্যময়তা। এ রহস্যময়তা দূর না করলে শেরপুর মৌজার ভূমি মালিকরা তাদের ভূমির মূল্য গ্রহণ করবেন না বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন এডঃ আব্দুর রউফ, কাউছার আহমদ, নুরুল ইসলাম, রজব আলী, নজরুল ইসলাম প্রমূখ।