দিনাজপুরে ইসকন মন্দীরে হামালায় খেলাফত আন্দোলনের নিন্দা
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহা-সচীব মওলানা মুহাম্মদ জাফরউল্লাহ খান এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শ্রী সঞ্জীব চৌধুরীর যুক্ত-বিবৃতিঃ-
বৃহস্পতিবার রাতে (১০ই ডিসেম্বর ২০১৫) দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের মন্দীরে (ইসকন মন্দীর) দুবৃত্তদের কাপুরুষোচিত হামলার আমরা দ্ব্যার্থহীন ভাষায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই হামলা আবারো প্রমাণ করল যে বাংলাদেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই। সাম্প্রতিককালে শুধু দিনাজপুর জেলাতেই এধরণের ৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। দিনাজপুরে এসব হামলায় কয়েকজন আহত হলেও কেউ নিহত হননি। কিন্তু কেউ মারা যাননি বলে ঘটনাগুলিকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
আমাদের জন্য এটি গৌরবের বিষয় যে ওলামা-মাশায়েখদের দ্বায়িত্বশীল ভূমিকার কারণে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংঘাতের বিষবৃক্ষ কোন দিন ডালপালা বিস্তারের অনুকূল পরিবেশ পায়নি। তা সত্ত্বেও বর্তমানে আততায়ীর কালো হাত আমাদের শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা ছিন্নভিন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তাদেরকে পরাস্থ করার জন্য আমাদের সবাইকে ধর্মীয় ও জাতিগত পরিচয় নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একথা সবাই জানি, আজ বিশ্বপরিস্থিতিতে মুসলমানরা বহুমুখী সন্দেহ দ্বারা আক্রান্ত। পথভ্রষ্ট, বিভ্রান্ত ও প্রলুব্ধ গুটিকয়েক মুসলমানের রহস্যজনক অপকর্মের দায় পবিত্র ইসলাম ধর্মের অনুসারী দেড় শ’ কোটি মানুষের উপর চাপানোর চেষ্টা অত্যন্ত স্থুলভাবে দৃশ্যমান। অথচ এইসব সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ আদতেই মুসলমান কিনা তা নিয়ে গুরুতর সন্দেহ রয়েছে।
এই পটভূমিতে বাংলাদেশকে নিরুপদ্রোপ রাখার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় আলেম সমাজকে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। এদেশের ওলামা-মাশায়েখ যদি একজোট হয়ে তথাকথিত ধর্মের নামে চলমান দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র ভন্ডুল করতে সক্রিয় হন, তাহলে গোটা জাতি তাঁদের সংগে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আজ শুধু ঘরে বসে বিবৃতি দিয়ে দায় সারার সময় নয়। আল্লাহর উপর ভরসা করে সক্রিয় হতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এবং চারিদিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে অপশক্তিকে অকার্যকর করার জন্য মাঠে নামতে হবে।