৭৭ ভাগ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে পুলিশ

mizanডেস্ক রিপোর্টঃ মানবাধিকার লংঘনে ৭৭ ভাগ অভিযোগই পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এসব ঘটনার তদন্ত ভার পুলিশের হাতে থাকায় ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল জানিয়েছেন পুলিশের হয়রানি বন্ধে নতুন উদ্যোগ নেয়ার কথা।
তিনি বলেন, ‘পিবিআই নামে আমরা একটা নতুন ইউনিট করেছি। আমরা আশা করছি আমাদের যতো অসংগতি ছিল এগুলি সবই দুর হয়ে যাবে। আমরা প্রত্যেক থানায় ৩ জন ইন্সপেক্টর নিয়ে আলাদাভাবে পিবিআই গঠন করেছি। সুত্র: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
একমাত্র আদরের ছেলে নাহিদ হত্যার দশ মাস পেরিয়ে গেছে কিন্তু ২৩ বছরের সন্তানের কথা ভেবে আজও আহাজারি করেন মা – নাজমুল নাহার। কান্না জড়ানো কন্ঠে বললেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান নিয়ে গেছে আমার বুক থেকে আল্লাহ যেন ওদের বিচার করেন। এক বছরে কোন বিচার পাই নাই’।
নাহিদের বড় বোন শীলার এখন ও মনে আছে ছোট ভাইকে তুলে নিয়ে যায় পল্লবী থানার সিভিল টিমের গাড়ী। দগদগে স্মৃতি হয়ে ভাসছে থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথপোকথন। বিচার চাইতে গত দশমাসে থানা, পুলিশ সদর দপ্তর, আদালত, মানবাধিকার কমিশন সহ নানা জায়গায় ছুটেছে নাহিদের পরিবার। সঠিক বিচার পাবার আশায় যত জায়গায় অবগত করার কথা সব জায়গায়ই নাহিদের পরিবার যোগাযোগ করেছে।
নাহিদের বাবা বলেন, পুলিশের কাছ থেকে লাশ আমরা নিয়ে এসেছি। সে সময় পুলিশ বলেছে, এই ছেলে যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে লাশ নিতে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। সে সময় এসআই আরেফিন, শুব্রত এবং ডিউটিরত অন্যান্য কনস্টেবলরা উপস্থিত ছিল।
আইন ও শালিশ কেন্দ্র জানিয়েছে গত এগারো মাসে গ্রেফতারের আগে ও পরে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে ৪২ জন আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এ বছর নিহত হয়েছে ১৭১ জন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বললেন , ‘আমাদের কাছে যত অভিযোগ আসে তার ৭৭ ভাগ অভিযোগই পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশে বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আসে সেই অভিযোগের তদন্ত পুলিশ নিজেই করে। আমরা এতে দ্বিমত পোষন করি। আমরা মনে করি এতে করে ন্যায় বিচারেরে পথটা বাধাগ্রস্ত হয়।