যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের উদ্যোগে লন্ডনস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন ঘেরাও
লন্ডন থেকে জুবায়ের আহমদঃ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সংগঠিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার কার্যে বাধা সৃষ্টি, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরিন বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ এর প্রতিবাদ জানিয়ে লন্ডনস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন ঘেরাও করেছে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ। ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সেন্ট্রাল লন্ডনের পাকিস্তান হাইকমিশনের সামনে ঘেরাও কর্মসূচি শেষে হাই কমিশন বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্বারক লিপিতে বলা হয় ১৯৭১ সালে যারা যুদ্ধাপরাধাদের সাথে জড়িত ছিল তাদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। যা বাংলাদেশের সাথে ১৯৭৪ সালে সম্পাদিত চুক্তির লংঘন। তারপরেও বাংলাদেশের নিজেস্ব আইনে যে বিচার কার্য চলছে তার সমালোচনা পাকিস্তান করতে পারে না। যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে পাকিস্তানের এ মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয় স্মারকলিপিতে। ১৯৭৪ সালে সম্পাদিক চুক্তি অনুয়ায়ী পাকিস্তানের ১৯৯৫জন যুদ্ধবন্ধীদেরকে বিচারের আওয়াতায় আনারও প্রস্তাবও ছিল।
এসময় এক সংক্ষিপ্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন, সহ সভাপতি আবুল হাসেম, সামসুদ্দিন মাস্টার, সৈয়দ মুজাম্মিল আলী, সহ সাধারণ সম্পাদক মারুফ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মিয়া, আব্দুল আহাদ চৌধুরী, প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক, আহমেদ আহসান, তথ্য গবেষনা সম্পাদক আবুল কালাম চৌধুরী, সৈয়দ সুরুক, আসম মিসবাহ, খছরুজ্জামান খসরু, মেহের নিগার চৌধুরী, যুক্তরাজ্য শ্রমিকলীগের আহবায়ক শামীম আহমদ, যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল আহমদ খান, হুসনে আরা মতিন, ময়নুল হক, আবুল কালাম, অনুকুল তালুকদার ডালটন, মনিরুল ইসলাম মঞ্জু, মুমিন আলী, সঞ্জয়কুমার রয়, যুক্তরাজ্য তরুণলীগের সভাপতি জুবায়ের আহমদ, উস্তার আলী, মকিস মনসুর, যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাকির আখতারুজ্জামান, সারোয়ার কবির, যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল ইসলাম ইমন, শামীম আহমদ, ইকবাল হোসেন, শামসুল হক চৌধুরী, চন্দন মিয়া, সৈয়দ জালাল আহমদ,বাবুল হোসেন, যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুসলিমা সামস বনি,কর্মজীবীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছির।
এসময় বক্তারা বলেন নিজ দেশের অভ্যন্তরিন সমস্যা শেষ না করে বাংলাদেশে অভ্যন্তরিন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে। সভায় বক্তারা পাকিস্তানের এধরনের আচরন থেকে বিরত থাকতে কঠোর হুসিয়ারী প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সুলতান শরিফ বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে যখন যাকে ফাঁসি দেয়া হয় তখন তাকে বলায় তাদের লোক। তিনি বলেন, আমরা এখানে এসেছি পাকিস্তান একটি পরাজিত শক্তি। তাদের কোন অধিকার নেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরিন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার।