রোববার ফেসবুকের সঙ্গে বসছেন তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্টঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দুইজন প্রতিনিধির সঙ্গে রোববার বৈঠকে বসছেন বাংলাদেশ সরকারের এক মন্ত্রী ও দুইজন প্রতিমন্ত্রী।
দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড সুপ্রিম কোর্ট থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর নিরাপত্তার কারণ দেখি জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি বাংলাদেশে বন্ধ থাকার মধ্যে এই আলোচনা হচ্ছে। তবে এ আলোচনা ফেসবুকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পর্কিত।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠক হবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন।
তিনি শনিবার রাতে বলেন, বৈঠকে তিনি ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক থাকবেন।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দুইজন প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের চিঠিতে সাড়া দিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তাদের ঢাকা পাঠাচ্ছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
প্রতিমন্ত্রী সে সময় বলেছিলেন, বাংলাদেশে ফেসবুকের নানা ধরনের অপব্যবহার ও নেতিবাচক বিষয়গুলো তুলে তাদের কাছে তুলে ধরা হবে। তাদের কাছে কোনো বিষয়ে অভিযোগ করলে যাতে দ্রুত সাড়া পাওয়া যায় তার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বর্তমানে দেশে ৫ কোটি ৪১ লাখ সক্রিয় ইন্টারনেট গ্রাহকের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক কোটি ৭০ লাখ।
মানহানিকর কনটেন্ট, নারীর প্রতি অবমাননা, রাজনৈতিক অপপ্রচার ও জঙ্গি কার্যক্রমে উৎসাহ দিয়ে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টির নানা চেষ্টা ফেসবুকের মাধ্যমে ঘটে বলে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ। কিন্তু ফেসবুকের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো ধরনের চুক্তি না থাকায় ফেসবুকের অপব্যবহারের মাধ্যমে ঘটা এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না।
উল্লেখ্য, গত আড়াই বছরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে ৩৭ জনের তথ্য চেয়ে সাড়া পায়নি বাংলাদেশ । ‘গ্লোবাল গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্টস রিপোর্ট’ নামে ২০১৩ সাল থেকে ৬ মাস পর পর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
গত ১১ নভেম্বর প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তিনজন ব্যবহারকারীর তথ্য চাওয়া হয়।
এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে ১২ জন, ২০১৪ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে ১৭ জন ও জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে পাঁচজনের তথ্য চেয়েছিল সরকার। ফেসবুক কারও তথ্যই দেয়নি।
তবে ২০১৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে মধ্যে তিনটি ‘কনটেন্ট’ দেখার সুযোগ বন্ধ রাখার বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সাড়া দেয় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির কর্তৃপক্ষ।