আমরন অনশনে বাংলাদেশীসহ সকল বন্দীর ইমিগ্রেশন রাইটস ও মুক্তির সহায়তায় হিলারী
নিউইয়র্ক থেকে এনা: যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারগুলোতে বাংলাদেশীসহ সকল বন্দীর মুক্তি এবং ইমিগ্রেশন রাইটস নিয়ে কাজ করবেন আমেরিকার আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারী কিনটন। এমন আশ্বাস দিয়েছেন, হিলারী নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ডিরেক্টর ‘লরেলা প্রাইলী’। গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার (নিউইয়র্ক সময়) আমেরিকান বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আমরন অনশনরত বন্দীদের মুক্তির দাবিতে ড্রাম আয়োজিত র্যালি ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ আশ্বাস দেন, হিলারীর প্রতিনিধি। দুপুরে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারী কিন্টনের নিউইয়র্ক-ব্রুকলীনের নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ‘হিলারী কিনটন’র ইলেকশন ক্যাম্পইন ডিরেক্টর লরেলা প্রাইলী’ বলেন, আমি নিজেও এক সময় আনডক্যুমেন্টেড ছিলাম। আমি জানি বন্দিদের অবস্থা। তিনি আরো বলেন, আমেরিকার বিভিন্ন কারাগারে বন্দীদের আইনী সহায়তা এবং ইমিগ্রেশন রাইটস নিয়ে কাজ করবেন সাবেক সেক্রেটারি অব স্টেট এবং প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারী কিনটন। যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ইস্যুতে ডেমোক্রেটরা সবসময় লড়াই করছেন বলেও জানান তিনি।
গত সপ্তাহে নতুন করে ৪টি কারাগারে যেসব বাংলাদেশী অনশন শুরু করেছে, তাদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবারের এ র্যালি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সাউথ এশিয়ান মানবাধিকার সংগঠন ডেসিস রাইজিং আপ মুভিং-ড্রাম। সংগঠনের নিবার্হী পরিচালক ফাহাদ আহমেদের নেতৃত্বে এতে অংশ নেন ড্রামের সদস্য ও বিভিন্ন কমিউনিটি লীডাররা। এসময়ে কমিউনিটি অর্গেনাইজার কাজী ফৌজিয়া বলেন, আজকে আমরা হিলারী নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে জড়ো হয়েছি। আগামীতেও এ ধারা অব্যহত থাকবে। আমরা মূলধারার রাজনীতিকদের জানাতে চাই কী ধরণের মানবতের জীবন-যাপন করছে বিভিন্ন কারাগারে বন্দীরা। বর্তমানে অনেকেই আমারণ অনশন করছে। তাদের প্রাপ্য আইনী সহায়তা দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করে কারাগারে অনশনরত বন্দীদের মুক্তির দাবি জানান, বাংলাদেশ সোসাইটি’র নেতারা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম হাওলাদারের নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশী বন্দীদের মুক্তির দাবি জানান। এসময়ে, ব্যানার প্ল্যাকার্ড’সহ নানা ধরণের স্লোগানে ইমিগ্র্যান্ট রাইটস নিয়ে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ারা।
উল্লেখ্য, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসংখ্য দেশ ঘুরে সাগর-জঙ্গল পাড়ি দিয়ে অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন বিভিন্ন দেশের সুবিধা বঞ্চিত নাগরিকরা। যাদের মধ্যে রয়েছেন শত শত বাংলাদেশীও। যেমনটি বলছিলেন সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী। গেল সেপ্টেম্বর থেকে টেক্সাসের ডিটেনশন সেন্টারে প্রথম আমরণ অনশন (হাঙ্গার স্ট্রাইক) শুরু করে প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশী। তখন থেকেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের চাপের মুখে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩৫জন ছাড়া পান। যাদের অনেকেই নিউইয়র্কে চলে আসেন। সাউথ এশিয়ান মানবাধিকার সংগঠন ড্রামের হয়ে অন্যান্য কারাগারে বন্দীদের মুক্তির দােিবত আন্দলনে অংশ নিচ্ছেন সদ্য মুক্তি পাওয়া অনেকেই।
উল্লেখ, আমেরিকার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আবারো প্রায় শতাধিক বাংলাদেশী আমরন অনশনে অংশ নিয়েছেন।