সোনারগাঁওয়ে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশত
নারায়ণগঞ্জ: জেলার সোনারগাঁওয়ের শম্ভুপুর ইউনিয়নের চরকিশোরগঞ্জে অধিপত্য বিস্তার ও বালু মহালের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের কয়েক দফা সংঘষে অর্ধশত আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বালু মহালের বালু উত্তোলন ও এলাকায় আধিপত্য নিয়ে শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিরউদ্দিন মেম্বার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হারুন শেখের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার সকালে নাসির উদ্দিনের সমর্থকরা নদী ভাঙ্গনের ঠেকানোর অজুহাত তুলে হারুন গ্রুপের বালু উত্তোলনে বাধা দেয়। এ সময় দু পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ২০ জন আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একইদিন বিকালে দুপক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হয় প্রায় ৩০ জন।
পরে আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক। সংঘর্ষের ব্যাপারে নাসির উদ্দিন মেম্বার জানান, অবৈধভাবে গ্রাম ঘেষে বালু উত্তোলন করায় বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে চরহোগলা গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের ধাওয়া দিলে বালু সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায় ও বাড়িঘরে ভাংচুর করে।
অপরদিকে হারুন শেখ জানান, আমরা বৈধভাবে চরকিশোরগঞ্জ বালু মহাল ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করছি। বালু মহালের ইজারা না পেয়ে নাসির মেম্বারের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা করে শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এতে আমাদের গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: মঞ্জুর কাদের জানান, বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সকালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বিকেলের হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে জানা নেই।