মায়ামী ডিটেশন সেন্টারে ৪০ বাংলাদেশীর জন্য কাজ করছেন এটর্নী জুবাইদা
এনা: ফোরিডার মায়ামী ডিটেনশন সেন্টারে প্রায় ৬০ জন বাংলাদেশী মানবেতর জীবন- যাপন করছেন। এই ৬০ জন বাংলাদেশীর মধ্যে প্রায় ৪০ জন বাংলাদেশীর জন্য কাজ করছেন ফেøারিডার অরল্যান্ডেতে আইন পেশায় নিয়োজিত বাংলাদেশী আইনজীবী জুবাইদা ইকবাল। ইতিমধ্যেই তিনি একজন বাংলাদেশীকে ছাড়িয়ে এনেছেন। জুবাইদা ইকবাল এনাকে জানান, এ সব বাংলাদেশীরা টেক্সাস বর্ডার দিয়ে আমেরিকায় ঢুকছে। যারা আমেরিকায় ঢুকছেন তাদের আইনী সুযোগ দেয়া হচ্ছে। আর যারা আমেরিকায় ঢুকতে পারছেন না, তাদের কোন আইনী সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, এরা সবাই বাংলাদেশে দালাল ধরে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন এজেন্টেদের মাধ্যমে আমেরিকায় ঢুকছেন। তিনি বলেন, অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে, আমেরিকার আসার জন্য তারা বিভিন্ন দেশে জেল খাটছেন’ দুর্গাম পথ অতিক্রম করছেন এবং দালালদের অর্থ দিয়ে আমেরিকায় আসছেন। এক প্রশ্নের জবাবে এটর্নী জুবাইদা বলেন, টেক্সাস ডিটেনশন সেন্টারে যেহেতু হেয়ারিং হয় না সেহেতু তাদের মায়ামী, নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্টেটের ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়। মায়ামীতে যে ৬০ জন বাংলাদেশী ডিটেশন সেন্টারে রয়েছেন তাদেরও টেক্সাস থেকে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আজকে (২৪ নভেম্বর) আমি আমার কাইন্ট হাবিবুর রহমানের মুক্তির জন্য অরল্যান্ডো থেকে মায়ামী যাই। মায়ামীতে গিয়ে আমি কোর্টে হাবিবুর রহমানের পক্ষে আইনী লড়াই করি। মামনীয় আদালত ১২ হাজার ডলার বন্ডে আমার কাইন্টকে মুক্তি দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, কোর্টে যাবার আগে আমি মায়ামী ডিটেনশন সেন্টারে যাই বাংলাদেশীদের সাথে দেখা করার জন্য। আমার সাথে প্রায় ঐ ডিটেনশন সেন্টারে অবস্থানকারী সকল বাংলাদেশীই দেখা করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ৪০ জন বাংলাদেশীকে মুক্তির জন্য আবেদন করি এবং মাননীয় আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করি। মাননীয় আদালত আমাকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এটর্নী জুবাইদা বলেন, এরই মধ্যে আমি তাদের ফাইল তৈরি করবো। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্যরা বিদেশী আইনজীবী ধরেছেন। তবে সমস্যা হচ্ছে বিদেশী আইনজীবীরাতো আর আমাদের মত আইনী লড়াই করবেন না। তিনি উদাহরণ দিতে বলেন, একজন আমেরিকান আইনজীবী একজনের বন্ড করেছেন ২২ হাজার ডলারে, আর আমি বাংলাদেশী নূর হোসেনের বন্ড করেছি মাত্র ১২ হাজার ডলারে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যেহেতু বাংলাদেশী সেহেতু অল্প অর্থেই এই সব কাজ করে দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, যারা বর্ডার ক্রস করে বাংলাদেশ থেকে আসছেন তাদের অধিকাংশই রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করছেন। যার মধ্যে অধিকাংশই বিএনপির নেতা-কর্মী হিসাবে এ্যাসাইলাম করছেন।
উল্লেখ্য, টেক্সাসের এলপাসো কারাগারে এখনো মুক্তির অপেক্ষায় ২০ জন বাংলাদেশী। এখারে ৪৮ জন বাংলাদেশী রয়েছেন। যার মধ্যে ২৮ জন ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছেন।