‘শেখ হাসিনা ভাঙবেন কিন্তু মচকাবেন না’
সুরমা টাইমস ডেস্ক: যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা চৌধুরী) ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় সংসদে সন্তোষ প্রকাশ করেন একাধিক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদরা।এই রায় কার্যকর হওয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, উনি ভাঙবেন কিন্তু মচকাবেন না। উনি যা বলেন তাই করেন।রোববার রাতে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদরা এ কথা বলেন।বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমতায় না থাকলে কেউ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতেন না। বঙ্গবন্ধুর মতো একই বৈশিষ্ট্য শেখ হাসিনার মধ্যে বিদ্যমান। তিনি যা বিশ্বাস করেন ও বলেন তাই করেন। মৃত্যুকেও পরোয়া করেন না। তার ওপর অনেক আন্তর্জাতিক চাপ ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো কারোর কাছে তার কন্যাও মাথা নত করেন না, মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে শেখ হাসিনা সাহসের সঙ্গেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে যাচ্ছেন। আমাদের কপালের কলঙ্কের তিলক উনি মুছে দিচ্ছেন।’কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম লুন্ঠিত হয়েছে। কয়েকটি ক্ষমতাধর দেশ ইনিয়ে-বিনিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলতে চেয়েছিল। আমি প্রশ্ন করতে চাই- এই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীরা যখন দেশে গণহত্যা চালিয়েছিল, তখন তারা কোথায় ছিল? এরা কোনোদিন আমাদের স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি।’জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘অপরাধীদের বিচারহীনতার বাজে সংস্কৃতি পাকিস্তানি ও পচাত্তরের পরবর্তী সামরিক শাসকরা চালু করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসীকতার সঙ্গে দেশকে বিচারহীনতার সেই সংস্কৃতি থেকে মুক্ত করেছেন। নির্বাচনী অঙ্গীকার অক্ষরে অক্ষরে উনি পালন করছেন।’আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে কোনোদিনই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হতো না। পৃথিবীর কোনো দেশে নেই পরাজিতরা সে দেশে রাজনীতি করতে পারে।মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি যদি কেউ করে থাকে সে হলো মুক্তিযোদ্ধা নামধারী জিয়াউর রহমান। কারণ এই যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন উনি ভাঙবেন, তবুও মচকাবেন না।’