মুজাহিদের দাফনে আসা জনতার উপর পুলিশের লাঠিচাজ, আটক ২
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ফরিদপুরে জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের দাফন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে আসা জনতার উপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় ২ জনকে আটক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুজাহিদের লাশ দাফনের শেষ পর্যায়েও ঢুকতে না পেরে মুজাহিদের বাড়ির সামনে বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কে জড়ো হওয়া মানুষ নারায়ে তাকবির স্লোগান দিতে থাকে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও তৌহিদ ও আবু বকর নামে দু’জনকে আটক করে। পশ্চিম খাবাসপুরে মুজাহিদের বাড়ি ও আইডিয়াল মাদ্রাসার প্রায় ৪শ’ গজ দুরত্বে চারপাশ ঘিরে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই অবস্থান নেয় কয়েকশ’ আর্মড পুলিশ ও পুলিশ।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার পরে আইডিয়াল মাদ্রাসা হতে গণমাধ্যম কর্মীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। লাশ দাফনকে কেন্দ্র করে ভোর হওয়ার আগেই মানুষ জড়ো হতে থাকে পশ্চিম খাবাসপুরে। এসময় তাদের ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে জড়ো হতে দেখা যায়। এরপর দাফন প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা হতে আগত এ্যাম্বুলেন্স আইডিয়াল মাদ্রাসা ত্যাগ করার পর সকাল পেওনে ৮টার দিকে সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
সারারাত অবরুদ্ধ ছিল দলীয় কর্মীরা
জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের লাশ দাফন করতে এসে সারারাত মাদ্রাসা কক্ষ ও মসজিদে অবরুদ্ধ সময় কাটিয়েছেন জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্র জানায়, মুজাহিদের দাফনকে কেন্দ্র করে শনিবার সন্ধ্যা হতেই মানুষ আসতে থাকে। সকলে অবস্থান নিতে থাকে আইডিয়াল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে। তবে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ সেখান থেকে গণমাধ্যম কর্মী ও বাইরের লোকদের বেরিয়ে যেতে বললে মসজিদ ও মাদ্রাসার কক্ষে অবরুদ্ধ অবস্থান নেয় নেতাকর্মীরা। সেখান হতে সকালে বের হওয়া একজন কর্মী জানান, শনিবার রাত হতে মাদ্রাসার মসজিদের ভেতর প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মী অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। সেখান থেকে সকালে লাশ আসার পর বেরোনোর অনুমতি পান।
বাদ জোহর গায়েবানা জানাজা
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার দুপুরে বাদ জোহর শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে আইডিয়াল মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে গায়েবানা জানাজা। জেলা জামায়াত সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মওলানা বদরুদ্দিন জানান, রোববার বাদ জোহর আইডিয়াল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মুজাহিদের কবর জিয়ারতে জনতার ঢল
জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের কবর জেয়ারত করতে বিভিন্নস্থান হতে দলীয় নেতাকর্মী ও স্বজনেরা ছুটে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে মুজাহিদের বাড়ি ও কবরের প্রাঙ্গণে আর্মড পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।