যেভাবে কার্যকর করা হলো ফাঁসি!
একই সময় একই মঞ্চে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।রোরবার (শনিবার দিবাগত রাত) রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মুজাহিদকে গোসল করানো হয়। ৯ থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে দেওয়া হয় রাতের খাবার। খাবারের মেন্যু ছিলো মুরগি, ডাল ও সবজি। তখন সালাউদ্দিন খেলেও মুজাহিদ খাননি। ৯টা ৩৫ মিনিটে শেষবারের মতো দেখা করতে কারাগারে ঢোকেন সাকার পরিবারের সদস্যরা। তারা অবস্থান করেন ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। সালাউদ্দিন কাদেরের পরিবার বের হলে ঢোকেন মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা। তারা অবস্থান করেন সোয়া ১২টা পর্যন্ত। পরিবারের সদস্যরা বিদায়ের পর সাড়ে ১২টার দিকে তওবা পড়ানো হয়। তওবা পড়ান কারাগার পুকুর পাড় সংলগ্ন মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মনির হোসেন খান। এরপর ১২টা ৩৬ মিনিটে কনডেম সেল থেকে যমটুপি পরিয়ে দু’জনকে একসঙ্গে ফাঁসির মঞ্চে নেওয়া হয়। এসময় তাদের মধ্যে কোনো রিঅ্যাকশন ছিলো না। তাদের দাঁড় করানো হয় একই মঞ্চে পাশাপাশি। একই সঙ্গে দু’জনের ফাঁসি কার্যকর করেন জল্লাদ শাজাহান ও রাজু। পরে কারা চিকিৎসক ডা. বিপ্লব কুমার ও আহসান হাবিব, ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন আবদুল মালেকের তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্ত হয়। এসময় শুধু তাদের ঘাড়ের রগ কাটা হয়। কারাগারের দায়িত্বশীল সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে।