‘আমরা দেখা করার সুযোগ পেলাম না’
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ফাঁসির দণ্ড পাওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, “কাল (বৃহস্পতিবার) আমরা বাবার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আপনারা (সাংবাদিকরা) যেটা জানতে চাচ্ছেন ‘মার্সি পিটিশন’ করব কি-না, এ বিষয়ে বাবা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি।”
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দুই ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী এবং দুই আইনজীবী এ্যাডভোকেট হুজ্জাতুল ইসলাম খান আল ফেসানী ও এ্যাডভোকেট আকবর ইউসুফসহ সাতজন কারাগারের সামনে আসেন। কারাগারের ভেতরে অনুসন্ধান রুমে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর তারা বের হয়ে আসেন। পরে ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ‘বাবা যেহেতু আজ বড় একটি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন, সেহেতু তিনি চেয়েছিলেন তার আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দেখা করতে যাওয়ার সময় তিনি তার আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করার কথা আমাদের বলেন। আমরা বিষয়টি আইনজীবীদের জানাই। আইনজীবীদের জানানোর পর তারা দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাবার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতির জন্য আবেদনের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ পাঁচ বছর আদালতে আইনী প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। সব সিদ্ধান্ত বাবা একা নিতে পারেন না। বাবা চেয়েছিলেন এই বড় সিদ্ধান্তটা আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে। কিন্তু অপনারা জানেন, আমরা দেখা করার সুযোগ পেলাম না।’
বড় ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী ৩০ দিনে একবার বাবার সঙ্গে আমাদের দেখা করতে দেওয়া হয়। ওই রুটিন অনুযায়ী গতকাল (বৃহস্পতিবার) বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাই। গতকালের সাক্ষাৎ বিশেষ কোনো সাক্ষাৎ ছিল না।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী, ছেলেমেয়ে ও ভাইবোনসহ ১৫ জন নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসেন। সাক্ষাৎ শেষে বেলা দেড়টার দিকে ছয়টি গাড়িতে করে তড়িঘড়ি করে তারা বের হয়ে যান। গণমাধ্যমের সঙ্গে ওই দিন তারা কোনো কথা বলেননি।