বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিলেটে ‘অঞ্চলভিত্তিক শুরু হলো আবৃত্তি উৎসব ও কর্মশালা’
‘আমাদের কন্ঠে বাজে সহজিয়া সুর- ধর্ম বর্ণ মিশে যায় যেখানে মানুষ’ এ বানীকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে সিলেটে শুরু হলো ‘অঞ্চলভিত্তিক আবৃত্তি উৎসব ও কর্মশালা’ ২০১৫’।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরের রিকাবীবাজারস্থ নজরুল চত্ত্বরে বর্নীল উৎসব শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সিলেট অঞ্চলের আবৃত্তি সংগঠন ও সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মীদের অংশগ্রহণে এ আয়োজন শুরু হয়।
পরে বিকেল ৫টায় রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ উৎসবের উদ্বোধনী আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন দেশের স্বাধীনতা যখন ভুলন্ঠিত হয়েছিল তখন শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতিকর্মীরাই জেগে উঠেছিল। এদেশের শিল্প এদেশের ভাষাকে তারাই সমৃদ্ধ করছে। ভালোকে ভালো মন্দকে মন্দ বলা সংস্কৃতিকর্মীরাই জানে।
বক্তারা বলেন এ সংস্কৃতির বীজ অনেক গভীরে প্রোথিত। তাই পূর্ব পুরুষদের ধারা অব্যাহত রেখে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতিকে আরো ছডিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে।
বক্তারা আবৃত্তির এমন আয়োজন থেকে অনেগুলো আলোকীত মানুষ তেরী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলির সভাপতি মোকাদ্দেস বাবুলের সভাপতিত্বে উৎসব এর উদ্বোধন করেন আবৃত্তি প্রশিক্ষক, নির্দেশক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব মীর বরকত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো, শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার মো. ফয়সল মাহমুদ ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজিনা ওয়ালী লিনা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘অঞ্চলভিত্তিক আবৃত্তি উৎসব ও কর্মশালা’র কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী আহসান উল্লাহ তমাল।
‘অঞ্চলভিত্তিক আবৃত্তি উৎসব ও কর্মশালা’ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচীব মো. মনির হোসেন ও আবৃত্তিশিল্পী সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছ বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত এবং সংস্কৃতিজন মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশু।
পরে সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আবৃত্তি সংগঠন গুলোর দলিয় আবৃত্তি পরিবেশনার পাশাপাশি ছিল অতিথি আবৃত্তিশিল্পীদের একক পরিবেশনা।
উল্লেখ্য ৩দিন ব্যাপী এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করছে সিলেট জেলার উর্বশী আবৃত্তি পরিষদ, মাভৈ: আবৃত্তি সংসদ, শ্রুতি সিলেট, মৃত্তিকায় মহাকাল, কথন আবৃত্তি সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাহিত্য একাডেমী ও তিতাস আবৃত্তি সংগঠন এবং মৌলভীবাজার জেলার কণ্ঠধ্বণী আবৃত্তি চক্র, শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ আবৃত্তি পরিষদ।
কর্মশালার পাশাপাশি উৎসবে প্রতিদিন থাকছে একক ও দলীয় পরিবেশনা যা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে ।
উৎসব শেষ হবে ২১ নভেম্বর।