সিলেট আওয়ামীলীগে অনলাইনে নেতারা নিরব : পদহীন তরুণরাই সরকারের ভরসা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটে আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠনের নেতৃস্থানীয় ও ক্ষমতাশীলদের প্রতি সাধারণ জনগনের অভিযোগ অন্তহীন। জনগনের কাছে সরকারের উন্নয়ন বার্তা পৌঁছে দিতে তারা ব্যার্থ বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এছাড়া ফেসবুক টুইটার সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিলেটের বেশির ভার আওয়ামী নেতারা নিষ্ক্রিয় অথবা অযোগ্য। এক্ষেত্রে ফেসবুকে সিলেটের আওয়ামীলীগ সমর্থক একটি গ্রুপ সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের অনেক গুরুদায়ীত্বই নিজ হাতে তুলে নিতে সক্ষম হয়েছে। জয়বাংলা Facebook যোদ্ধা গ্রুপ নামক ফেসবুকে এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা লক্ষাধিক ছাড়িয়ে গেছে। প্রায় প্রতিদিন এই গ্রুপ্রে সরকার ও আওয়ামীলীগের পক্ষে শতাধিক পোস্ট করা হয়। যে কারনে সিলেট আওয়ামীলীগের নেতাদের জনবিচ্ছিন্নতা অনেকটাই পোষিয়ে দিচ্ছে এই গ্রুপ। এই গ্রুপের এমন একটি পোষ্ট নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলঃ
বিধাতা কি পারেন না? সবই তাঁর ইশারায় নিয়ন্ত্রিত,পরিচালিত হয়। অপ-প্রচার,ষড়যন্ত্র,মিথ্যা দিয়ে বেশী দিন টিকা যায়না।সত্যের প্রকাশ হবেই। যখন সত্য প্রকাশ পায় তখন লোকচক্ষুর অন্তরালে গিয়ে জনরোষ থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে হয়। ইতিহাসে এমন নজিরের অভাব নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে মিথ্যা,অপ-প্রচার, ষড়যন্ত্র যেমনি রক্ত আর স্বজনহারানো আর্তনাদের বেদনা বিদুর দৃশ্যের লাগাতার অবতারনা ঘটেছে দীর্ঘ দুই যুগ ,তেমনটি দেখা যায়না সমসাময়িক বিশ্ব শুধু নয়,পৃথিবী নামক গ্রহটির সৃষ্টির আদিকাল থেকেই। ইতিহাসের কি নির্মম অমোঘ বিধান ইতিহাসবেত্তার পরিবারের নারী শিশু, কাজের লোক সহ সবাইকে হত্যা করে,লাগাতার পরিবারটির দীর্ঘ অর্জিত সম্মান ,সামাজিক,অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক সুনামের উপর দিয়ে দুই যুগ লাগাতার মিথ্যার ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েও ধ্বংশ করা যায়নি তাঁর অবদান।বরঞ্চ দিনে দিনে তা আর ও বেশি শক্তি সঞ্চয় করে বাঙ্গালী হৃদয়ে আপন মহিমায় স্থান করে নিয়েছে।ফলশ্রুতিতে যাঁরাই ষড়যন্ত্র,হত্যা,অপপ্রচাররের হাতিয়ার কাঁধে নিয়ে, অঘোষিত যুদ্ধে লিপ্ত থেকে, বাঙ্গালী জাতিকে তাঁর স্ব-মহিমায় প্রতিষ্ঠিত কৃষ্টি, সংস্কৃতি থেকে শত বছরের পেছনে ঠেলে দিয়েছিল ,তাঁদের বিচার বাংলার আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ,বিশ্ববাসি অনুসৃত নীতিতে।বাদবাকিদের বিচার মহান আল্লাহর অসিম কৃপায় বাঙ্গালী জাতি পাওয়ার নিশ্চয়তার পরিবেশ ইতিমধ্যে তাঁর আরশ থেকে বর্ষন শুরু করে দিয়েছেন।আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশনা আছে,”বান্দাগন যেন আমার সৃষ্টির কারন সম্পর্কে চেলেঞ্জ না করে,আপসোষ না করে,কেন এমন সৃষ্টি করেছি তাঁ একমাত্র আমি জানি।”তাইতো খোড়া, অন্ধ,বিকলাঙ্গ মানুষ দেখে সাহায্য করে সবাই, আপসোষ করেনা কেহই।সকল করুনা দান করার মালিক আল্লাহ,মানুষের করুনা দেখানো আল্লাহ পছন্দ করেন না।তাইতো যে জীবটাকে মানুষ দুধ কলা দিয়ে বড় করে ,সে জীব থেকে করুন আঘাত পাওয়ার উদাহরন প্রতিটি ব্যাক্তি,সমাজ,রাষ্ট্রীয় ইতিহাসের পরতে পরতে দেখা মিলে।বাংলাদেশের ইতিহাসেও তাঁর সামান্যতম ব্যাত্যায় ঘটেনি,অনুমান করা যায় ভবিষ্যতেও ঘটবে না।
আপনাকে করুনা দেখিয়ে বঙ্গবন্ধু সংসার ফেরৎ দিয়েছিলেন,তার বদলে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে প্রতিদান দিয়েছেন স্ব-পরিবারে হত্যা করে,তাঁর কন্যাকে বাড়ীর দরজা থেকে ফিরিয়ে দিয়ে।এবার করুনা ভিক্ষা করে কি দিবেন জাতির পিতার কন্যাকে?২১শে আগষ্টের মত অন্যকিছু?
সুপ্রিয় বন্ধুগন আপনাদের নিশ্চয়ই স্মরনে আছে ২০০৬ইং সালের ১৪ দলীয় জোটের আন্দোলনের কথা।অহমিকা শুধু মানুষ নয় রাজনৈতিক দলের ও যে পতন ডেকে আনে তাঁর প্রকৃষ্ট প্রমান আজকের বি,এন,পি।আন্দোলন যখন তুঙ্গে কোন অবস্থায় তত্বাবধায়কের প্রধান নিয়োগের ব্যাপারে তৎকালীন বিরুদীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করার জন্য সরকারকে রাজী করানো যাচ্ছিল না,যদিও সংবিধানের নীতি অনুযায়ী সংসদের সংখ্যাগরিষ্ট বিরুদীদলীয় সদস্যদের মনোনীত প্রধান নেতার সাথে সমঝোতা সাপেক্ষে তত্বাবধায়ক প্রধান সহ অন্যান্ন সদস্যদের নিয়োগ দেয়ার বিধান রক্ষিত ছিল,তাঁর তোয়াক্কা না করে দলীয় প্রেসিডেন্টকে তত্বাবধায়কের প্রধান করা হয়েছিল।সেদিনের রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে বৃহত্তর জোট গঠিত হয়েছিল জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।সেই জোটের নামকরন করা হয়েছিল “মহাজোট”।আকার এবংপ্রকারের দিক থেকে অতীতে তো হয়নি ভবিষ্যতেও আর কখনও গঠিত হবে কিনা জানি না।সেই দলের ঢাকা অবরোধের কর্মসূচিতে যখন সারা দেশ অচল,তখন খালেদা পুত্র তারেক জনগনের স্বতস্ফুর্ত আন্দোলনের সাথে চরম তামাশার এক ঐতিয্য সৃষ্টি করে।তাঁর কথিত হাওয়া ভবনের মাঠে তিনি ক্রিকেটের উৎসবে মেতে উঠেন।এই যেন রোম পুঁড়ছে,নিরু মনের আনন্দে বাঁশি বাজানোর প্রবাদকেও হার মানিয়ে দেয়ার মত জনগনের প্রতি চরম ঔদায্যতাপুর্ন আচরন।
সরকার গঠনের আগে পরে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চৌদ্দ দলীয় জোট,নবগঠিত মহাজোটসহ অন্য বিরোধী দল যে প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল, আপোসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার অনুগামীরা এর প্রত্যেকটির বিরোধিতা সহ চরম ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছিলেন।আন্দোলনের মুখে জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য,সব কয়টি দাবী মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এভাবে বার বার আপোসহীন নেত্রী বাংলার জনগনের নিকট পরিচিত হতে থাকেন রাজনীতির ভাড়, বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্র সমুহের নিকট হাস্যরসের খেলনার পতুল হিসেবে পরিনত হতে থাকেন।মেজর জিয়ার পারিবারিক জোরপুর্বক দখল করা সম্মান আর ইমেজে জনগণের সামনে তাসের ঘরের মত ব্যাবহারের পর ছোড়ে ফেলে দেয়ার মত অবস্থায় পৌঁছে দেয় মা,ছেলে মিলে।তাদের এতবড় জনসমর্থিত দলকে খেলো দলে রুপান্তরীত করে দিচ্ছিল তা একবারও বিবেচনায় আনতে পারেননি,দলের বুদ্ধিদীপ্ত তুখোড় নেতারাও।
২০০৭-এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সবচেয়ে বেশি দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল বিএনপি। অল্প কয়েক দিনেই বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটির ইমেজ নামতে নামতে তলানিতে এসে ঠেকেছিল। নেতা-নেত্রীদের ইতিপূর্বের মাঠ কাঁপানো বক্তৃতা তখন চরম মিথ্যাচার ছিল বলে মানুষের কাছে প্রতীয়মান হতে থাকে। দেশটি বার বার দুর্নীতি গ্রস্ততার বিচারে বিশ্বসেরা শীর্ষস্থান হওয়ার কলঙ্ক গায়ে মেখেছিল মা -ছেলের মিলিত লুটপাটের জন্য তা আর কাউকে বলে বোঝাতে হয়নি। বাঘা বাঘা বিএনপি নেতারা সব দুর্নীতির দায়ে একে একে অন্তরীণ হতে থাকেন জেলে। দু’দিন আগেও ধরাকে সরাজ্ঞান করতে অভ্যস্ত বেগম খালেদা জিয়াকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রায় ‘অনুচর সহচরশূন্য’ বাগাড়ম্বরখ্যাত মন্ত্রী এম,পি বিহীন অবস্থায় পুষ্পার্ঘ অর্পণ করতে দেখে বড় মায়া,করুনা,হৃদয়ের কান্না,ব্যাথায় মথিত হতে হয়েছিল লক্ষকোটি আমজনতার। অথচ এর ক’দিন আগেও নেত্রীর সান্নিধ্যের কাছাকাছি আসার জন্য উন্মত্ত প্রতিযোগিতা ছিল বিএনপির বড়-মাঝারি নেতা-নেত্রী, আমলা আর ব্যবসায়ী,নেতা পাতিনেতাদের। সাম্প্রতিককালে অমন অবস্থার পুনরাবৃত্তি আমাদের জীবদশায়দেখতে হবে কল্পনাও করিনি কোনদিন।
ইতিহাসের পরিণতি এতই স্বয়ংক্রিয় যে ঝড়ো হাওয়া নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল ফখরুদ্দীন আহমদের তত্বাবধায়ক সরকার,নিমিষেই বিলীন করে দিয়ে গেল প্রতাপশালী পরিবারের সবকিছু।বেরিয়ে আসতে থাকে জিয়ার ভাঙ্গা স্যুটকেস থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পদ,ব্যাংক ব্যালেন্স,কো-কো জাহাজ আর ডান্ডি ডাইং এর মত হালফ্যাসানের ব্যাবিসায়ীক প্রতিষ্ঠান।পরিবারটি এতই নিলর্জ বেহায়া হয়ে যায় সম্পদের লোভে বাংলাদেশের একাধিকবারের ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করেও ইতিহাসের চরমতম নিকৃষ্ট উদাহরন স্থাপন করতেও দ্বিধা করেনি।তত্বাবধায়ক সরকারের কালো টাকা সাদা করার সুযোগ গ্রহন করে বিপুল পরিমান টাকা রাজস্ব পরিশোধ করে সাদা করে।ইহাও কি সম্ভব?কোথায় পেলেন এত কাল টাকা,জনগনকে আর কেউ প্রচার করে বুঝাতে হয়নি,জনগনের হাতে বিচারের ভার যখন দিলেন তত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ ইং নির্বাচনের মাধ্যমে,মাত্র ২৯ টি আসনে বিজয় অর্জন করে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হওয়ার পথে ধাবমান হওয়া শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পয্যন্ত বাড়ী ভাড়া নেয়ার জন্য লন্ডনে খোঁজ খবর শুরু করেছেন।
এমতবস্থায় মা,ছেলে যখন বুঝতে পেরেছে ভোটের মাধ্যমে খমতা আর ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই,বড় জোর সৎ ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন দিয়ে দ্বিগুন যদিও করা যায় তাহলেও ষাট হতে দুই বাকী থাকবে।এরই মধ্যে এতিমের হকের টাকা সাপ হয়ে সারা জীবনের জন্য বিষক্রিয়া চড়িয়ে খমতার বৃত্ত থেকে ১৪ শীকের ভেড়াজালে সারাজীবন পঁচেগলে নি:শেষ হওয়ার ব্যাবস্থা পাকাপাকি হয়ে যাবে,কারন তিনিতো জানেন এতিমের টাকা কিভাবে আত্মসাৎ করে ভোগবিলাসে খরছ করেছেন এবং লুটের টাকায় লন্ডনে আরাম আয়েশে জীবন কাটাচ্ছে ছেলে,পরিকল্পনা তাঁর নীজেরও।
সুতারাং অতীত ঐতিয্যের পথে বাঁচার চেষ্টা করা ছাড়া উপায় নেই। তাই জড়ো করলেন আবার বাবা -স্বামী জিয়ার ক্ষমতা গ্রহনের সুত্র মত সব শ্রনীর জঙ্গী,বোমাবাজ,ডানবাম,নাস্তিক, মাওলানা,মৌলভী। সব চেষ্টা বাংলার জনগন রুখে দেয়ার পর আবার ভিক্ষার ঝুড়ি নিয়ে জাতির জনকের কন্যার নিকট উপস্থিত হতে দেখে কলম হাতে বসতে বাধ্য হলাম।
জাতির জনকের পরিবার সকল সম্পদ,স্ব-পরিবারের রক্ত ঢেলে দিয়ে মাথা গোজার ঠাঁইয়ের জন্য রাষ্ট্র থেকে একটা বাড়ী চেয়ে নিয়েছিলেন।অহংকারী অথর্ব,বাংলার মীরজাফরের পরিবার খমতায় এসে সেই বাড়ী থেকেও বের কিরে দিয়েছিল।অথছ জাতির জনকের মৃত্যুরপর এক রিকাশাওয়ালা দুই বোনের থাকার জন্য নীজের সঞ্চিত টাকায় একখন্ড জায়গা কিনে রেখেছিলেন অনেক আগেই।কেউ জানতোনা। পারিবারিক ঝগড়ার একপয্যায় সাংবাদিক সেই ঘটনা আবিস্কার করে।নেত্রী ঐ বাড়ী ভালবাসার নিদর্শনের প্রতিদানে সেই পরিবারকেই ঘর তোলে মাথা গোঁজার ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন।
রাজনীতির ভাগ্যের অমোঘবিধানে আজকে জাতির জনকের কন্যাদ্বয়ের মাথাগোজার ঠাঁই সারা বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু পাগল কোটি জনতার ঘরে,আর যারা বের করেছিল রাষ্ট্রীয় বাড়ী গাড়ী দখল করেছিল,সম্পদ লুট করে রাতারাতি চেড়াগেঞ্জী,ভাঙ্গা
স্যুটকেস ভরে তুলেছিলেন ভোগের আশায়,। তাঁরাই একে একে দেশান্তরী হয়ে নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠছেন। @না!!! @ ভাবার কোন কারন নেই, রাষ্ট্র তাঁদের যেতে বাধ্য করেনি,আত্মহমিকাই তাঁদের নিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বিদেশ বিভুঁইয়ে।মৃত্যুর কোলে সঁপে দিচ্ছেন অজানা অচেনা জনপথে।ইহাই মনে হয় বিধাতার শাস্তি,ইহাই মনে হয় পবিত্র কোরানে আল্লাহ ঘোষিত পৃথিবীর দোজগ,উদাহরন হয়ে থাকার জন্য আল্লাহপাক মাঝে মাঝে দেখান।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশ রত্ন শেখ হাসিনা