সারা দেশে বিএনপি জামায়াতের ৬ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সারা দেশে পুলিশের ধরপাকড় অভিযান চলছেই। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরাই পুলিশের এ গ্রেফতার অভিযানের শিকার।বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপি ও শিবিরের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি-জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীসহ ৬০২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, চট্টগ্রামের সীতাকু-, বগুড়া, বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও লক্ষীপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সর্বাধিক সংখ্যক। এদিকে রাজধানীর মতিঝিলে বিস্ফোরকদ্রব্যসহ শিবিরের ছয় নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফকিরাপুল বাজারের ভেতরে মালেক মার্কেটের কাছে একটি ভবনের পঞ্চম তলা থেকে তাদের আটক করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা ঢাকায় বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় মতিঝিল ফকিরাপুল এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ওই এলাকার একটি ভবন থেকে শিবিরের নেতাকর্মীদের হেফাজতে থাকা বিস্ফোরকদ্রব্য ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, আটক ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সীতাকু- (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, সীতাকু- উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সীতাকু- থানার এসআই মোজাম্মেল জানান, শুক্রবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তবে স্থানীয়রা জানান, পুলিশ দোকানদার, ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি, কাঠ মিস্ত্রি ও শ্রমিকসহ নিরীহ মানুষদেরকে গণগ্রেপ্তার করে হয়রানি করছে। সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, নাশকতার অভিযোগে সাতক্ষীরায় বিএনপি-জামায়াতের ৫৩ নেতাকর্মীসহ ৭১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। এর মধ্যে সদর থানায় ১৪ জন, কালিগঞ্জ ও কলারোয়ায় ১৩ জন করে, পাটকেলঘাটা ও আশাশুনিতে ৮ জন করে, তালায় ৬ জন, শ্যামনগরে ৫ এবং দেবহাটা থানায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন পৌর কাউন্সিলর ও একজন সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্যও রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- কলারোয়া পৌর জামায়াতের নায়েবে আমীর আবদুল মতিন খান, সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ও জামায়াতের রোকন আনারুল ইসলাম ও জেএমবির সন্দেহভাজন সদস্য সেলিম বাবু ওরফে টাক বাবু। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত জেলার সাতটি উপজেলায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে এ গ্রেপ্তার করা হয়। জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা উপপরিদর্শক এসআই কামাল হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা নাশকতার লক্ষ্যে খ–খ-ভাবে বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়। এসময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলাও রয়েছে। নতুন করে তাদের বিরুদ্ধে আরও একটি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বগুড়া প্রতিনিধি থেকে জানান, বগুড়ায় বিশেষ অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- ধুনট থানা জামায়াতের সাবেক আমীর হারুনার রশিদ, শেরপুর থানার জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি আফছার উদ্দিন। বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, জেলার ১২টি থানায় শুক্রবার রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় পুলিশ জামায়াত-শিবিরের ১৫ জন এবং বিএনপি’র ৫ জন সহ অন্যান্য মামলার ৭৫ জনকে আটক করেছে। আটককৃত বিএনপি ও জামায়াত বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি জানান, বিভিন্ন থানা থেকে অন্যান্য মামলার আসামীদের কাছে একটি দেশী পিস্তল , ৯ রাউন্ড গুলি, ১২টি ককটেল, ৩টি চাপাতি, ৩টি চাইনিজ কুড়াল, ২টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন মামলার ১৬ জন আসামিসহ ৭৩ জনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তাদের গ্রেপ্তারের কথা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। তিনি জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। এসময় সহকারী পুলিশ সুপার এফএম মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়েছে র্যাব-বিজিবি-পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর। অভিযানে জেলা শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানাসহ জামায়াত-বিএনপির ১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত শিবিরের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের সাতরশিয়া গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এমএম ময়নুল ইসলাম জানান, র্যাব-বিজিব-পুলিশ সমন্বয় গঠিত যৌথবাহিনী অভিযানে শুক্রবার রাতে যৌথবাহিনী শিবগঞ্জ পৌরসভা, মোবারকপুর ও শাহাবাজপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে আসামি ও সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করেছে। লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। গতকাল ভোররাতে লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি, কমলনগর উপজেলা ও চন্দ্রগগঞ্জ থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জামায়াত নেতা সালাউদ্দিন ও শাহজাহান মিয়াসহ ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত তিনদিনে ১০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান জানান, নাশকতাকারী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। শনিবার ভোররাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জামায়াতের দুই নেতা এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীস অন্য মামলার পলাতক আসামিও রয়েছে। এ নিয়ে গত চারদিনে ১০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে নাশকতার আশঙ্কায় জেলখানা, সমুদ্র বন্দর মংলা, ইপিজেড, পর্যটন এলাকা ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবন, ষাটগম্বুজ মসজিদ ও হযরত খানজাহান (রা.) মাজার শরীফের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলাব্যাপী পুলিশের নাশকতা বিরোধী বিশেষ অভিযানে শনিবার সকাল পর্যন্ত কচুয়া থানা বিএনপি নেতা মঈন মোল্লাসহ ২৯ জনকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে ২০ জন নাশকতাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি। জেলা পুলিশ অফিস জানায়, রাতভর জেলার ৯টি থানা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। রংপুর প্রতিনিধি থেকে জানান, রংপুরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও জননিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন মোড়ের পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। এদিকে নাশকতার অভিযোগে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষসহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে নগরীর আশরতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটককৃতরা সবাই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানায় পুলিশ। কোতয়ালি থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী জানান, আশরতপুর চকবাজার তামজিনুল মিলাত ক্যাডেট মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আকমল হোসেনসহ ৮ জনকে আটক করে। আটককৃতদের থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাবি প্রতিনিধি জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে নগরীর মতিহার থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী বিনোদপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহাগ হোসেন ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল রানা। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মানবজমিনকে জানান, বিনোদপুর এলাকার বিভিন্ন ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে শিবিরের তিনজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জকিগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি জানান, জকিগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রোকবানী জাবেদকে গ্রেপ্তার করেছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে এসআই শরিফ উদ্দিন ও সিরাজ উদ্দিন একদল পুলিশ নিয়ে আটক করেন। আটক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে সিলেটের কোতোয়ালি থানাসহ একাধিক থানায় নাশকতার মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, পৌরসভার নিজ বাড়ি থেকে শুক্রবার রাতে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম উদ্দিন জানান, মাওলানা সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে চাটখিল থানায় ৪টি নাশকতার মামলা রয়েছে। সাদুল্যাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল শনিবার তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফরহাদ ইমরুল কায়েস গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকদের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলাসহ বিভিন্ন মামলা থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও শিবিরের ৪ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার ঝিকিড়া গ্রামের এরশাদ আলী ও রাঘববাড়িয়া গ্রামের আবু তালেব, নলসোন্দা গ্রামের ফরহাদ এবং চরকালিগঞ্জ গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন। উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান কৌশিক আহমেদ জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় নাশকতা সৃষ্টির মামলা রয়েছে। ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াতের পাঁচ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতভর এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের খাইরুল ইসলাম, হলিধানী ইউনিয়নের শালিয়া গ্রামের সাইপার আলী, সামাদ বিশ্বাস, আবেদুল্লাহ ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের জিহাদ আলী। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত কর্মীরা নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়। রাজশাহী থেকে জানান: রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল লতিফসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাদের আটক করে। আব্দুল লতিফ বাঘা হজরত আব্দুল হামিদ দানিশ মন্দ (রহ.) সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের শিক্ষক। আটক অপরজন জামায়াতের কর্মী জাহাঙ্গীর হোসেন। তবে তাদের আটকের ব্যাপারে কোন তথ্য জানে না বলে দাবি করেছে ডিবি পুলিশ। রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক খাইরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। বর্তমানে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, জোহরের নামাজে যাওয়ার সময় উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকা থেকে আব্দুল লতিফকে ও বাঘা বাজার এলাকায় নিজস্ব দোকান থেকে জাহাঙ্গীরকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা জিন্নাত আলী বলেন, তাদের নামে বিশেষ কোন মামলা নেই। ইতিপূর্বের যে মামলা রয়েছে সেসব মামলায় তারা জামিনে আছেন। বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, ডিবি পুলিশ তার এলাকায় অভিযান চালিয়েছে এ কথা তিনি জানেন। তবে অভিযানে কাদের আটক করা হয়েছে সে ব্যাপারে তার কাছে কোন তথ্য নেয়।