কলেজ ছাত্রীকে ইভটিজিং, কলেজের দরজা জানালা ভাংচুর
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বানিয়াচং জনাব আলী ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী মিতানুর জান্নাতকে ইভটিজিং করেছে একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সারোয়ার আলম খান।সে বানিয়াচং উপজেলা সদরের মিয়াখানী এলাকার আলমগীর খানের ছেলে।ওই ছাত্রী কলেজের অধ্যক্ষের কাছে বিচার প্রার্থী হওয়ায় তার বন্ধুরা মিলে কলেজের লাইব্রেরী রুমের দরজা ও অধ্যক্ষের জানালার গ্লাস ভাংচুর করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে।লিখিত অভিযোগের জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে সারোয়ার কলেজে যাওয়া আাসর পথে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অশ্লীল কথাবার্তা ও ম্যাসেজ প্রদান করে ছাত্রীকে উত্তক্ত্য করে আসছে। ঘটনার দিন ওই ছাত্রী তার বড় বোন ও ভাই ইমনকে সাথে নিয়ে কলেজে এসে সারোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য।এসময় ছাত্রীর ভাইয়ের সাথে সারোয়ারের কথা কাটাকাটি হয়।একপর্যায়ে ইমন সারোয়ারকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
পরে সারোয়ার ও তার বন্ধুরা মিলে কলেজ ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে এবং লাইব্রেরী রুমের দরজা ও অধ্যক্ষের রুমের জানালার গ্লাস ভাংচুর করে।খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার ওসি(তদন্ত)দিলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদর পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।পরে সারোয়ার আলম খান,(১ম বর্ষ),সৈয়দ কাওছার আহমেদ,(২য় বর্ষ)ও রুহেল মিয়া(অনিয়মিত)এই ৩জনের বিরুদ্ধে কলেজ অধ্যক্ষের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রী মিতানুর জান্নাত।
এদিকে কলেজ গভনির্ংবডির সদস্য ও কলেজের শিক্ষকরা বসে ওই ৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে কলেজ ভাংচুরের অভিযোগে কলেজ থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেন।এবং বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওসির বরাবরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ সাফিউজ্জামান খান।