একযুগ পর পৈত্রিক ভিটেমাটি ফিরে পেল বিশ্বনাথের কিশোর মোজাহিদ আলী
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: বিশ্বনাথে দীর্ঘ এক যুগ পর পৈত্রিক ভিটেমাটি ফিরে পেয়েছে এক কিশোর। সে উপজেলার কারিকোনা গ্রামের মৃত সাজ্জাদ আলীর ছেলে মোজাহিদ আলী (১৩)। শুক্রবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও গ্রামবাসির উদ্যোগে ওই কিশোরকে তার পৈত্রিক ভিটেমাটি ও ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেয়া হয়। শুধু তাই নয়। টাকার অভাবে লেখাপড়া-তার মাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও কারিকোনা গ্রামবাসী।
জানাগেছে, দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর পূর্বে কারিকোনা গ্রামের সাজ্জাদ আলী মৃত্যুবরণ করলে ছয় মাসের শিশু মোজাহিদকে নিয়ে তার স্ত্রী পিত্রালয়ে চলে যান। এ সুযোগে সাজ্জাদ আলীর বিরোধপূর্ণ বসত ভিটায় আশ্রয় নেন অন্য দাবিদাররা। তখন বিষয়টি জেনে সাজ্জাদের স্ত্রী আর বাড়ি ফিরে আসেননি। তবে স্বামীর বাড়ির আত্বীয়-স্বজনদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেন। কিন্তু তারা অনেক চেষ্টা করেও কিছুই করতে পারেননি । সম্প্রতি নানান আর্থিক টানাপোড়নের কারণে এবং ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেকটা নিরুপায় হয়ে সাজ্জাদ আলীর স্ত্রী কারিকোনা গ্রামেরই বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী এবং গ্রামের পঞ্চায়েতের শরনাপন্ন হন। উপজেলা চেয়ারম্যান ও কারিকোনা গ্রামবাসি দীর্ঘ প্রচেষ্টা চালিয়ে সাজ্জাদ আলী জায়গা দখল মুক্ত করে প্রকৃত মালিক মোজাহিদের কাছে দীর্ঘ একযুগ পর তার পৈত্রিক ভিটেমাটি দিতে সক্ষম হন। এসময় কারিকোনা গ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী সাংকাদিকদের বলেন, মৃত সাজ্জাদ আলীর স্ত্রী-ছেলের ভিটেমাটি গ্রামবাসির সহযোগিতায় ফিরে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে তারা ওই গ্রামে বসাবাস করবে।
মোজাহিদ আলী বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও গ্রামবাসির আন্তরিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিন পর পিতার রেখে যাওয়া জমি ফিরে পেয়েছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কারিকোনা গ্রামের কৃতি সন্তান সুহেল আহমদ চৌধুরী, কারিকোনা পঞ্জায়েত কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী, সহ-সভাপতি মুজেফর আলী, প্রবীণ মুরব্বী মো. তৈমুছ আলী, হারিছ আলী, মাহমদ আলী, আব্দুন নুর, নুরুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, বিশ্বনাথ প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম জুবায়ের, তরুণ সংগঠক হুসিয়ার আলী, খলিলুর রহমান, শাহিন মিয়া, রহিম মিয়া প্রমুখ।