শমসের মবিন পদত্যাগ করায় আনন্দ মিছিল করবে সিলেট বিএনপি
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি বৃহস্পতিবার রাজনীতি থেকে নিজ উদ্যোগেই অবসর নিয়েছেন। বিএনপির শীর্ষ ওই নেতা পদত্যাগ করায় সিলেট বিএনপির একাংশ আনন্দ মিছিল করবে বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি।
বিএনপি নেতা পংকী জানান- ‘শমসের সাহেব রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ভালো কথা। কিন্তু বিএনপির আদর্শ নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন তা নিয়ে আমার দ্বিমত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ২/১ দিনের মধ্যে শমসের মবিন পদত্যাগের করার জন্য নগরীতে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হবে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরে কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপর সন্ধ্যায় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।
এ সময় তিনি বলেছেন, বিএনপি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে কতটুকু চলছে, তা নিয়ে যে প্রশ্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। উনি যে চিন্তাধারা ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটা গঠনমূলক রাজনীতির কথা ভেবেছিলেন; অনেকের মনে প্রশ্ন এবং আমার মনেও প্রশ্ন, বিএনপি সেখানে কতটুকু রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বিএনপির কঠিন সময়ে বৃহস্পতিবার আকস্মিকভাবে দলের সব পদ ছাড়েন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী।
শমসের মবিন চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম আব্দুল মবিন চৌধুরী এবং মায়ের নাম তাহমেদুন নাহার। তার স্ত্রীর নাম শাহেদা ইয়াসিমিন। তাদের দুই ছেলে।
১৯৭১ সালে শমসের মবিন চৌধুরী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রতিরোধ যুদ্ধকালে চট্টগ্রামের কালুরঘাটের যুদ্ধে তিনি আহত হন এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে তিনি বন্দী হন। ১৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনী আত্মসমর্পণের পর তিনি মুক্তি লাভ করেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরবিক্রম খেতাব প্রদান করে। শমসের মবিন চৌধুরী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেজর পদে কর্মরত থাকাকালে তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। পর্যায়ক্রমে পররাষ্ট্র সচিব পদে উন্নীত হন এবং পরে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে অবসর নেন। ২০০৯ সালে বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিলে ভাইস চেয়ারম্যান পদ পান শমসের মবিন চৌধুরী।