মধ্যরাতে এমপি কেয়া চৌধুরীর গাড়ি চালক ও পিএস এর উপর হামলা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর গাড়ি চালক ও তার পিএসকে মারধোর করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় এমপি কেয়া চৌধুরীর গাড়ী চালক সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় হবিগঞ্জ শহরের পুরান মুন্সেফী এলাকার মরহুম মছদ্দর আলীর পুত্র কয়ছর ও তার ভাই ফরহাদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহার ও দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাত প্রায় ১২টার দিকে এমপি কেয়া চৌধুরীর পুরান মুন্সেফী এলাকাস্থ ভাড়া বাসা সুরেন্দ্র ভবনের সামনের রাস্তায় কেয়া চৌধুরীকে নামিয়ে গাড়ী থেকে মালামাল বাসায় নিয়ে যাচ্ছিল গাড়ির চালক সুরুজ মিয়া। এ সময় আসামী কয়ছর ও ফরহাদের সাথে রাস্তায় গাড়ী রাখা নিয়ে তার তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে কয়ছর ও ফরহাদসহ ৭/৮ জনের একদল যুবক তাকে মারপিট করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় চালকের চিৎকার শুনে এমপি কেয়া চৌধুরীর পিএস এগিয়ে এলে তাকেও মারপিট করে হামলাকারীরা। এ পরিস্থিতিতে এমপি কেয়া চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছুটে এসে হামলার দৃশ্য অবলোকন করেন। হামলার দৃশ্য দেখে এমপি কেয়া চৌধুরী বিষ্মিত হন। গতকাল তিনি হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্রকে বিষয়টি অবগত করেন। গতকাল রাতে এ ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় দায়েরী মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ও মঙ্গলবার আসামীদের বাসায় কয়েক দফা অভিযান চালিয়েও কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে এমপি কেয়া চৌধুরী হবিগঞ্জের দৈনিক খোয়াইকে জানান- ঘটনাটিকে তিনি একটি গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন। তিনি বলেন হামলাকারীদের কয়েকজন মাদকাসক্ত ছিল। তাই কেউ কেউ তাকে এ ঘটনাকে মাতালের কান্ড বলে উড়িয়ে দিতে চাইছে। এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন- মাতালরা ৭/৮ জনের সংঘবদ্ধ দল হতে পারে না। এ ঘটনার পর তিনি নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।