গোয়াইনঘাটে পাশবিকতার শিকার ১১বছরের শিশু : মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটের গোয়াইনঘাটে পাশবিক যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১১বছরের এক শিশু ৬ দিন ধরে সিলেট ওসমানী মেডিকের কলেজ হাসপাতালের ২৩নং শিশু ওয়ার্ডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গত ২২অক্টোবর শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমীর রাতে থানার দাড়িপার গ্রামে নরাকীয় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত শিশু রনঞ্জিৎ নমঃ (১১) সিলেটের জৈন্তাপুর থানার শিকারখাঁ গ্রামের রজনী নমঃ-এর পুত্র ও স্থানীয় স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় অভিযোগ করা হলেও মামলা নেয়নি পুলিশ।
জানা গেছে, সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গোৎসবের মহানবমীর রাতে (২২অক্টোবর) গোয়াইনঘাটের দাড়িপাড়ায় যাত্রার আসর বসে। যাত্রা দেখতে শিশুরনজিৎ নমঃ সেখানে গেলে রাতে তার আত্মীয় দাড়িপাড়ার বাবুল নমঃ-এর বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এসময় বাড়ির লোকজন যাত্রানুষ্টানে ছিলেন। আর এসুযোগে একদল নরপশু বাবুলের ঘরে ঢুকে রনজিৎকে অপহরন করে । পরে স্থানীয় হিলচান বিলের পারে নিয়ে পালাক্রমে তার উপর পাশবিক নির্যাতন ও যৌনতা চালায়। ঘটনা টের পেয়ে বিলের পাহারাদার টর্চলাইট মেরে ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে গেলে নরপশুরা রনজিতকে মৃতপ্রায় অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পাহাদার মুমুর্ষ ও রক্তাক্ত অবস্থায় রনজিতকে উদ্ধার করে পূজামন্ডবে নিয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালের ৫ম তলাস্থ ২৩নং শিশুওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তার মলদ্বারে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং তার অবস্থা এখনো আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশু রনজিতের পিতা রজনী নমঃ বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৬জনের বিরুদ্ধে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহার নামীয় আসামীরা হচ্ছে, সিলেটের নন্দিরগাঁও গ্রামের দুদু মিয়ার পুত্র ছালেক (২২), একই গ্রামের হারুণ মিয়ার পুত্র লায়েক ও উকিলার পুত্র জামাল এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩জন। কিন্তু ঘটনার ৬দিন অতিবাহিত হলেও মামলাটি রেকর্ডে নেয়নি থানা পুলিশ।
এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার এস আই আব্দুল হক সাংবাদিকদের জানান, তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে এবং মামলা রেকর্ডের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ওসি থানার বাইরে ছুটিতে থাকায় মামলা রেকর্ডে নিতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান তিনি।