সবচেয়ে বড় পাওয়া হচ্ছে সম্মানের সাথে বিদায় : বিদায়ী অনুষ্ঠানে ড. মোমেন
নিউইয়র্ক থেকে এনা: বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে মেলে ধরার পাশাপাশি আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করবেন নতুন স্থায়ী প্রতিনিধি। এমন মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এখানে কাজ করেছি। আমার সফলতার সবচে বড় পাওয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা। কোন ধরণের প্রটকোল ছাড়াই আমি বিশেষ প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে
প্রধানমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে সাড়া পেয়েছি এবং সমস্যার সমাধান করেছি। এটাই আমার সফলতা। আর সবচে বড় পাওয়া হচ্ছে সম্মানের সাথে কারো বিদায় হওয়া। আমি সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। বিদায়ী অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
গত ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার (নিউইয়র্ক সময়)রাতে ম্যানহাটনের বাংলাদেশে মিশনের স্থায়ী কার্যালয়ে নিজের বিদায় অনুষ্ঠানে ড. মোমেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,
নতুন স্থায়ী প্রতিনিধি অত্যন্ত ডায়নামিক এবং ভালো মানের কূটনীতিক। যিনি এখানকার দায়িত্ব নিচ্ছেন তার নাম হচ্ছে মোহাম্মদ মাসুদ ইবনে মোমেন। ইবনে মানে সন্তান। তাহলে তিনি হচ্ছেন আমার সন্তানতুল্য। আমি বিশ্বাস করি তিনি আমার সকল অসমাপ্ত কাজগুলো সমাধান করবেন।
নতুন মিশন প্রধানকে সবসময় সহযোগিতা করবেন এমন আশ্বাস দিয়ে ড. মোমেন বলেন, আমি চলমান কাজগুলোর বেশীরভাগ ড্রাপ্ট করে যাবো, যাতে করে উনার কোন সমস্যা না হয়। আর তাছাড়া যে কোন প্রয়োজনে তো আমার অফিস সহকর্মীরা রয়েছেন।ড. মোমেন বিদায় অনুষ্ঠানে তার নির্ধারিত বিশেষ অতিথিদের বিশীরভাগই ছিলেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক’সহ জাতিসংঘের বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের কয়েকজন আন্ডার
সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খায়ের, স্যাসটেনেববিল ডেভেলপমেন্ট গোল-এসডিজির কো-চেয়ার ডেভিড ডোনা, ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি আশোক মূখার্জি, ফিজি’র স্থায়ী প্রতিনিধি পিটার থনসন এবং কেনিয়া, আয়ারল্যান্ড, পোল্যন্ড, বার্মা’সহ বেশ কয়েকটি দেশের মিশন প্রধান (স্থায়ী প্রতিনিধি)’সহ দূতাবাস কর্মকর্তারা। এছাড়াও ড. মোমেনর বিদায় সংবর্ধনাতে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল পারমানেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ এসোসিয়েশন’র নেতারা।
আগামী ৩০ অক্টোবর শেষে হচ্ছে ড. এ কে আবদুল মোমেন’র দীর্ঘ ছয় বছরেরও বেশী সময় ধরে কাজ করা প্রিয় কর্মস্থল মিশনের দায়িত্ব। টিকিট বুকিং নিশ্চিত হলেই নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেশে যাবেন বলে জানান, ড. মোমেন। তবে, দেশে গিয়ে সরকারের কোন দায়িত্ব নিবেন কী না সে বিষয়ে তেমন কিছু এখনি বলতে চাননি তিনি। জানান, আগে দেশে গিয়ে পুরো জন্মভূমি ঘুরে ফিরে দেখবেন এবং এলাকার মানুষের সুখ-দুখ নিজের সাথে শেয়ার করবেন।