গোয়াইনঘাটে পূজাকে কেন্দ্র করে ৬নং ফতেহ্পুর ইউনিয়নের চেয়াম্যান প্রার্থীদের দৌঁড়ঝাপ

ফতেহপুর থেকে ফিরেঃ গোয়াইনঘাট উপজেলার ৬নং ফতেহ্পুর ইউনিয়নের দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তৎপরতা বেড়ে গেছে। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ব্যানার ফেষ্টুনে ছেড়ে গেছে ফতেহপুর ইউনিয়নের পুরো এলাকা। এতদিন যাদেরকে ইউনিয়নের জনগণ কাছে পায়নি, নিজেদের উন্নতি নিয়ে চিন্তায় মগ্ন ছিলেন, এখন হঠাৎ করে জনদরদী সেজে সাধারন মানুষের মন জয় করার সব ধরনের কৌশল ব্যবহার করে যাচ্ছেন। ভোটাররা প্রার্থীদের তৎপরতা দেখে ধীরে ধীরে প্রার্থীদের নিয়ে খোঁজ খরব নেওয়া শুরু করেছেন। তবে অধিকাংশ প্রার্থীই এলাকার চেনামুখ হওয়ায় প্রার্থীদের সমন্ধে ধারণা পেতে তেমন বেগ পেতে হচ্ছেনা। তবে বিপাকে পড়েছেন অতিথে যাদের ক্যারেশমায় ফতেহ্পুর ইউনিয়নের ভাগ্য নির্ধারিত হতো তাদেরকে এবার নতুন ভোটারা পাত্তা না দেওয়ায় এবং এখন পর্যন্ত আঞ্চলিকতার নির্বাচন তৈরী না করতে পারায় তাদের নির্বাচনী বাণিজ্য কমে আসার সম্ভবনা বেশী। অতীতে কয়েকটি নির্বাচনে গুটি কয়েক ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কৌশলে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে প্রার্থীদের বিজয়ী করার প্রতিশ্রুতি দেয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজ প্রার্থীকে বিজয়ী করে নিজেদের সুযোগ সুবিধা চেয়াম্যানদের কাছ থেকে ভোগ করে আসছেন। তবে এবার কোন কৌশলই কাজে আসছে না, একদিকে বিগত দিনের জনবিরোধী কয়েকটি কর্মকান্ডে নিজেরা মুরব্বি সেজে টাকার বিনিময়ে প্রকাশ্যে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারনে,জনগনের কাছে বাংলাদেশী রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় ভোটের বাজারে কোন মূল্য নেই এবার। এর মধ্যে দলীয় প্রতিকে নির্বাচন ঘোষণা করার ফলে জনবিচ্ছিন্ন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নৌকা ও ধানের শীষ মার্কা নিয়ে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এবার যারা নৌকার প্রার্থী নিয়ে নির্বাচন করার জন্য চেষ্ঠা করছেন তাদের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওমীলীগ নেতা মাষ্টার ইসমাইল আলী, সাবেক চেয়াম্যান নুরুল হাসান, উপজেলা যুবলীগ নেতা ও বিগত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ম্যান পদপ্রার্থী সাহাব উদ্দিন, বিন্নাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাষ্টার আমিনুর রশীদ চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন। পাশাপাশি ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে যারা নির্বাচন করতে চান তাদের মধ্যে বর্তমান চেয়াম্যান বাবুল হোসেন বাবুল, সাবেক চেয়াম্যান প্রার্থী মাহবুব হোসেন এবং গোয়াইনঘাট উপজেলার তালিকাভূক্ত আসামী মিনহাজ উদ্দিন। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন, উপজেলা যুবলীগ নেতা শাহাব উদ্দিন ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ইসমাইল আলী মাষ্টার সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল হাসান।
তবে সাবেক চেয়াম্যনে আওয়ামীলীগ নেতা নূরুল হাসান আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিক না পাওয়ার সম্ভবনা বেশী। কারন তিনি বিগত সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক আহমদের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নেওয়ায় বর্তমান সংসদ সদস্য তার উপর ক্ষুব্ধ। ইউনিয়ন আওমীলীগের সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন বয়সে তরুণ হওয়ায় এবং প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করায় তিনিও মনোনয়ন না পাওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে মননোয়ন দৌঁড়ে নৌকা মার্কায় এগিয়ে আছেন সাহাব উদ্দিন ও ইসমাইল আলী মাস্টার।
বিএনপির মধ্যে বর্তমান চেয়াম্যান বাবুল হোসেন বাবুল অর্ধ শতাদিক মামলার আসামী হওয়ায় নির্বাচনের আগেই নির্বাচন থেকে অযোগ্য হওয়ার সম্ভবনা থাকায় বিএনপি প্রার্থী কে হবেন তা এখনো বলা মুশকিল।
তবে সব প্রার্থীদের মাথা ব্যাথার একমাত্র কারন বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়াম্যান পদপ্রর্থাী বাংলাদেশ নাগরিক অধিাকার বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক মো. ইসলাম আলী। তিনি প্রার্থী হলে নির্বাচনী হাওয়া বদলে যেতে পারে বলে । তাহার সমর্থনে ইতিমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ব্যানার, ফেষ্টুন, নিজেরে ছবি ব্যবহারকরে তাকে প্রার্থী হওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছে। কারন ৬নং ফতেহপুর ইউনিয়নে হাজার হাজার ভূমিহীন উচ্ছেদের চেষ্টা করলে তিনি ভূমিহীনদের পক্ষ নিয়ে আন্দোলন করে গরীব মানুষের ভিটে-মাটি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং সাংবাদিকতার সুবাদে বিগত দিনে ইউনিয়নের মানুষের বিপদে আপদে পাশে ছিলেন তাই অধিকাংশই সাধারন মানুষ এবার ইসলাম আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তার সাথেই মূল প্রতিদ্বন্ধীতা অন্যান্য প্রার্থীদের হবে।