সরকারের জুলুম অত্যাচার নির্যাতনে জনগন দিশেহারা
কারামুক্ত নেতা-কর্মীর সংবর্ধনায় লেবার পার্টির চেয়ারমান ডাঃ ইরান
হামলা মামলা গ্রেফতার নির্যাতন করে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম স্তব্দ করা যাবে না দাবী করে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষনেতা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, সরকার দেশ পরিচালনায় চরম ব্যর্থ হলেও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের অত্যাচার নির্যাতনে সফল হয়েছে। র্যাব-পুলিশসহ আইন শৃংখলাবাহীনি ও জনপ্রশাসনকে ব্যবহার করে দেশকে আওয়ামী জাহিলিয়াতে পরিনত করেছে। হামলা-মামলা, গ্রেফতার-নির্যাতন, জুলুম-অত্যাচারের মাধ্যমে দেশকে কারাগারে পরিনত করেছে। লেবার পার্টি গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে রাজপথে আছে এবং থাকবে। অবৈধ সরকারের জুলুম অত্যাচার থেকে জনগন মুক্তি চায়। কেননা অতীতে কোন জালেম স্বৈরাচার জনগনকে জিম্মি করে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি শেখ হাসিনাও পারবে না।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত আওয়ামী বাকশালী অপশক্তি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে স্বৈরাচার ও খুনি গনবাহীনির ঘাতকদের নিয়ে গনতন্ত্রের লেবাসে ক্ষমতা জিম্মি করেছে। আইন শৃংখলার চরম অবনতি, বিদেশী নাগরিকরা হত্যা, খুন, গুম-অপহরন, চুরি-ডাকাতির কারনে জনগন দিশেহারা। সরকারের এমপি-মন্ত্রী ও সন্তানরা পাখির মতো গুলি করছে। মাতৃগর্ভে সন্তান, পথশিশু বা শ্রমজীবি রিক্সাচালক গুলি থেকে রেহাই পায় না। তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত। বাংলাদেশ আজ অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রের খাদের কিনারায় অবস্থান করছে।
তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১ টায় একুশে মিলনায়তনে সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির সাধারন সম্পাদক মাহমুদ খান ও যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দিনের সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তাব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন, এডভোকেট ফারুক রহমান, এমদাদুল হক চৌধুরী, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোঃ জাকির হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব শামসুদ্দিন পারভেজ, সহ-সাংগঠনিক আনোয়ার হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান খোকন, নগর সহ-সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন, নগর প্রচার সম্পাদক মোঃ আবু সাঈদ ও সংবর্ধিত ঢাকা মহানগর সাধারন সম্পাদক মাহমুদ খান, যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে হামদুল্লাহ মেহেদী বলেন, ৫ জানুয়ারী জনগন ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে শেখ হাসিনার সরকার কে প্রত্যাখান করেছে। তাই তাবেদার সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নাই। তারা জবরদখল করে ক্ষতায় টিকে আছে। দ্রব্যমুল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে জনমনে নাভিশ্বাস উঠেছে। ক্ষমতাশীন দলের নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারিত্ব, লুণ্ঠনের কারনে ব্যবসা-বানিজ্য ধংসস্তুপে পরিনত হয়েছে।এখন দেশ বাচাঁও-মানুষ বাচাঁও সংগ্রাম বেগবান করতে হবে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহিদ জিয়ার যোগ্য উত্তরসুরী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তাবেদার বাকশালী অপশক্তিকে পতনের আন্দোলনে সর্বস্তরের জনগনকে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।