কাজিরবাজার সেতু সাইফুর রহমানের সময়োপযোগী উদ্যোগের সোনালী ফসল
—–বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক
সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নগরীর নব উদ্ধোধিত কাজিরবাজার সেতু সফল অর্থমন্ত্রী মরহুম এম. সাইফুর রহমানের সময়োপযোগি সাহসী উদ্যোগের সোনালী ফসল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আওয়ামীলীগের চিরাচরিত অভ্যাস “তোরা যে যা করিস ভাই, শুধু নামটি আমার চাই” এই নীতির কারনে আজ সাইফুর রহমানের অবদান একবারের জন্যও স্বীকার করলোনা। ইতিহাস স্বাক্ষী সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরনের লক্ষ্যে ২০০৫ সালে বৃহত্তর সিলেটের উন্নয়নের রুপকার সফল অর্থমন্ত্রী মরহুম এম. সাইফুর রহমান সুরমার দুই পাড়ের মানুষের মাঝে সেতু বন্ধন সৃষ্টির জন্য কাজিরবাজার সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে কাজ শুরু করেন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর কয়েকদফা নকশা পরিবর্তন করে সেতুটির যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে। প্রধানমন্ত্রী টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করলেও একটি বারের জন্য এর স্বপ্নদ্রষ্টা মরহুম সাইফুর রহমানের নাম একটি বারের জন্যও স্মরন করেন নি। যা সিলেটবাসীর হৃদয়ে রক্তক্ষরনের শামিল। এর মাধ্যমে দলগত মত পার্থক্য থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা সিলেটের সহনশীলতার রাজনীতির ইতিহাসে কলংকের কালেমা লেপন করেছে আওয়ামীলীগ। সত্য স্বীকার করে সেতুটির নাম সময়ের শ্রেষ্ট সিলেটপ্রেমী মরহুম সাইফুর রহমানের নামে নামকরন হলে সিলেটবাসী উচ্ছাসিত হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে উপরোক্ত কথা বলেন। আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, আওয়ামীলীগ নিজেরা উন্নয়ন করতে না পারলেও নামকরণে পটু। সিলেট শহরকে একটি আদর্শ ও আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে মরহুম এম. সাইফুর রহমান কার্যকর উদ্যোন নিয়েই ক্ষান্ত হননি। কাজ সম্পন্ন করে সফল হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ থেকে সাইফুর রহমানের নামফলক ভেঙ্গে দেয়া, নাম বাতিল করার অপরাজনীতির জন্য আওয়ামীলীগকে ভবিষ্যতে জনতার আদালতে অবশ্যই জবাবদিহী করতে হবে।