বাংলার মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছি : সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ‘আমার বাবা সারা জীবন বাংলার মানুষকে ভালোবেসেছিলেন। দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে জনগণের জন্য সবকিছু উৎসর্গ করব। সারা জীবন দেশের মানুষের জন্য কাজ করবই। বাংলার মানুষের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করেছি। সোনার বাংলা আমরা ইনশাআল্লাহ গড়ে তুলব।’
রাজধানীতে এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ এবং ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এই নাগরিক সংবর্ধনা দেয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। সংবর্ধনায় ওই দুই পুরস্কার তিনি দেশবাসীকে উৎসর্গ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অনেক কিছুই অর্জন করেছে। আজকের সব অর্জন বাংলার জনগণকে দিয়ে দিলাম। বাংলার মানুষের জন্য আমি যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। এই বিজয় বাঙালি জাতির। বাঙালি বিশ্ব সভায় যেন মর্যাদার আসন পায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মেহনতি মানুষ যেন দুমুঠো ভাত পায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশে ১৬ কোটি মানুষের বাস। উন্নয়ন করতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই পরিবেশের ওপর চাপ পড়ে। পরিবেশের ভারসাম্য যেন রক্ষা হয় সেই পরিকল্পনা মতোই কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক চক্রান্ত হয়েছে, আজ বিশ্ব সভায় বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশ এবং ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ নাগরিক সংবর্ধনা দেয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
বিকেল সাড়ে চারটায় শুরু হওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের বক্তৃতার পাশাপাশি ছিলো মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। এ অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের বিভিন্ন পরিবেশনার পাশাপাশি সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ছাড়াও সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাখো শহীদের রক্তে পাওয়া দেশ আর বিজয়ী জাতি মাথা নিচু করে চলবে, তা হতে পারে না। তারা বিশ্বসভায় মর্যাদার আসন পাক সেটাই চাই। তারা মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে না, অন্ন পাবে না, তা হতে পারে না। তাই যে চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই গরীব কৃষক মেহনতি মানুষ উন্নত জীবন পাবেন, সেটাই আমার লক্ষ্য।
শেখ হাসিনা বলেন, শুধু পুরস্কারের জন্য বা পুরস্কার অর্জন করেই আমরা বসে থাকিনি। সীমিত সম্পদ দিয়েই আমরা সবুজ সোনার বাংলাদেশকে সবুজ রাখতে নিজেরাই কার্যক্রম শুরু করেছি। একদিকে পরিবেশ রক্ষা, অন্যদিকে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। কারণ, আমার দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি দেশকে উন্নত করতে হবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলায় আমরা খরাসহিষ্ণু ধানসহ বিভিন্ন গবেষণার ওপর জোর দিয়েছি। নদী-নালা রক্ষায় কাজ চলছে। সেই সঙ্গে নদীর নাব্যতা রক্ষা করে আমিষ উৎপাদন অর্থাৎ মাছের উপাদন বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কাজ করছি।