সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়াতে মন্দিরে গরুর মাংস ছুঁড়তে গিয়ে ধৃত আরএসএস কর্মী
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ মন্দিরে গরুর মাংস ছুঁড়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে বোরখার আড়ালে থাকা হিন্দু উগ্রবাদী দল আরএসএস এর এক কর্মী। ভারতের আজমগড়ের ঘটনায় ‘বিফ বিতর্কে’ সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিতে এমনটি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন একটি খবর প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক এই সময়।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিন্দু মন্দির চত্বরে গরুর মাংস ছুড়ে ফেলে সাম্প্রদায়িক বিভেদ উস্কে দেওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক কালে ভারতের নানা প্রান্তে দেখা দিচ্ছে। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে দেশটির উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মন্দিরের ভিতর মাংস ছুড়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে বোরখা পরা এক ব্যক্তি। আবরণ উন্মোচনের পর পোশাকের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে এক তরুণ। টুইটারে সেই ছবি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
টুইট-এ দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তি কট্টর আরএসএস সমর্থক ও কর্মী। সংখ্যালঘুর ভেক ধরে হিন্দুদের পবিত্র স্থান কলুষিত করার চেষ্টার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ধৃত যুবককে নিযে আজমগড়ের রাস্তায় মিছিল বের করা হয় বলেও সোস্যাল মিডিয়ার বার্তায় জানানো হয়েছে।
বাড়িতে গরু হত্যা করেছেন অভিযোগে গত সোমবার রাতে গ্রেটার নয়ডার দাদরি-তে গণপিটুনিতে খুন হন বিসরাখা গ্রামের বাসিন্দা বছর মোহাম্মদ আখলাক । ঘটনার জেরে তীব্র সমালোচনায় তোলপাড় হয় সোশ্যাল মিডিয়া। তদন্তে জানা গিয়েছে, স্থানীয় মন্দিরের ঘোষণার জেরেই আকলাখের বাড়িতে চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা। পুলিশের দাবি, জেরায় মন্দিরের পুরোহিত কবুল করেছেন যে তাঁকে ওই ঘোষণা করতে বাধ্য করেছিল দুই যুবক।
এদিকে, মর্মান্তিক ঘটনার জেরে গ্রাম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিহতের পরিবার। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রামের আরও ৫০টি সংখ্যালঘু পরিবারও। তাঁদের দাবি, পুলিশি পাহারায় আপাতত এলাকা শান্তথাকলেও প্রহরা তুলে নেওয়ার পর অনিশ্চয়তার আতঙ্কে গ্রামে বসবাস করা সম্ভব হবে না।