বালাগঞ্জের পূজা পরিষদের সভাপতির উপর সন্ত্রাসী হামলা

Toroni Kanti Dasসুরমা টাইমস ডেস্কঃ পূর্ব বিরোধের জেরধরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত সিলেটের বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের পূজা পরিষদের সভাপতি তরনী কান্ত দাসকে ফেঞ্চুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় যেকোন সময় বড় ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান। হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আহতের অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা এ ঘটনার পর তরনী কান্ত দাসের পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তার ছেলের স্ত্রী ও নাতিদেরকেও যেকোন সময় তুলে নিতে পারে সন্ত্রাসীরা এমন আশংকার কথা জানান তরনী কান্ত দাস।
তিনি আরো জানান, পূজা উদযাপনের জন্য সংগ্রহকৃত প্রায় দুই লাখ টাকাও লুটপাট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বেলা ২টায় আতাসন গ্রামের বাবুর বাড়ি পার্শ্ববর্তী রাস্তার উপর পূর্ব থেকে অবস্থান নেয়া ৮-১০জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ি তার উপর হামলা চালায়।
এদিকে তরনী কান্ত দাসের উপর হামলার ঘটনায় বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এটিএম মাজহারুল ইসলাম তার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সম্পর্কে জানেন এবং খোঁজ খবর নেন।
বর্তমানে নিরাপত্তার জন্য তরনী কান্ত দাসের বাড়িতে পুলিশী পাহারা রয়েছে। হামলাকারীরা পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের পূজা পরিষদের সভাপতি প্রবীণ মুরব্বি তরনী কান্ত দাসের তুলে নিয়ে ওই গ্রামের রফিক মিয়ার বাড়িতে আটকে রেখে তাকে নির্যাতন করে।
পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে পূনরায় তার বাড়িতে দিয়ে যায় হামলাকারীরা। এসময় হামলাকারীরা তার ছেলে স্বপন কান্তি দাসকে বাড়িতে খোঁজ করে।
অভিযোগ, তরনী কান্ত দাসের উপর হামলায় অংশ নেন মাসুক মিয়া, সানোয়ার মিয়া,রফিক মিয়া, মানিক মিয়া, দেলোয়ার মিয়া, ইসলাম মিয়া,রহিম মিয়া,মকবুল আলী,সিকদার মিয়া।
১২নং পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ হারুন মিয়াসহ স্থানীয়রা এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদেরকে কঠোর শাস্তির দাবী জানান।