জীবন ও জীবিকা-পর্ব-১ : অরন্যে বাশিঁর সুর
জীবন পালঃ ১২৫০ একরের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের অরন্যে মদিনা ভাই এর বাঁশিতে ভেসে বেড়াই “ আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই, শহীদ স্মৃতীর স্মরনে”র সুমধুর সুর । যে বাঁশির সুর দিয়ে মদিনা ভাই বরণ করে নেই লাউয়াছড়া জতীয় উদ্যানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের । পর্যটকরাও সেই সুরে হারিয়ে যাই গভীর অরন্যে । পাখির কল-কাকলি আর মদিনা ভাই এর বাঁশির সুরের সামঞ্জস্য অসাধারণ । প্রকৃতির সাথে মিল রেখেই যেন মদিনা ভাই এর সৃষ্টি । এক হাতে বাঁশি আর অন্য হাতে আইসক্রীম এর বাক্স । পর্যটকদের বাঁশির সুরে বিমোহিত করে একটি আইসক্রীম কিনার আকুতি থাকে এই ৫০ বছরের আজব মানুষটির ।কেননা এই অরন্যে আইসক্রীম বিক্রিটাকে জীবিকা নির্বাহ আর বাঁশি বাজিয়ে দর্শনার্থীদের আনন্দ
দেওয়াটাকে শখ হিসেবে বেছে নিয়েছেন । এই শখের সাথে তিনি যুক্ত করেছেন যাদু প্রদর্শন । এক টাকার কয়েন নিজ হাত থেকে গায়েব করে দর্শনার্থীদের মধ্য থেকে কারও পকেট, পেট বা পিছন থেকে বের করে তাক লাগিয়ে দেন । তাছাড়া হাতের তাল বাজিয়েও দর্শনার্থীদের আনন্দ দিয়ে থাকেন । এই সাদা মনের এই মানুষটি আসলেই অসাধারণ গুনের অধিকারী । যা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবেনা ।
যার আদি নিবাস বি.বাড়িয়ার নবীনগরে । ১৫ বছর বয়সে যিনি পাড়ি জমান মৌলভীবাজার জেলার ভানুগাছ উপজেলার বাঘমারা গ্রামে । দ্বীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে যিনি এই উপজেলায় বসবাসরত । কখনও ভ্যান, কখনও রিক্সা চালনো আবার কখনও বা দিন মজুরের কাজ কওে এতদিন জীবিকা নির্বাহ কওে আসলেও বয়সের তাড়নায় বর্তমানে আইসক্রীম বিক্রি আর মানুষকে বাঁশি বাজিয়ে যাদু দেখিয়ে ও হাতের তাল বাজিয়ে বই এর সেই সুখী মানুষটির মত জীবন-যাপন করছেন । কথা বলে জানা গেল, বড় ভাই আব্দুর রহিম এর কাছ থেকে বাঁশি শিক্ষা এবং ভানুগাছ বাজারের যাদু প্রদর্শনকারীদেও কাঝ থেকে যাদু কায়েম করেন ।