শ্রীমঙ্গলের আচঁলকে তুলে ধরলো এটিএন বাংলা (ভিডিও)
জীবন পালঃ নিজস্ব প্রতিভা থাকা স্বত্তেও সুযোগের অভাবে বাংলাদেশের একমাত্র ফিমেইল ব্যান্ড চায়ের রাজধানী পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলের আচঁল। যেখানে প্রতিভা বিকাশে ব্যর্থ ছিল, সুরমা টাইমস’র পর এবার সেখানে আচঁলের প্রতিভাটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিল স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা।
এর আগে সাপ্তাহিক সুরমা টাইমস ও সুরমা টাইমস অনলাইনে সুযোগের অভাবে আজও অপরিচিত বাংলাদেশের একমাত্র ফিমেইল ব্যান্ড শ্রীমঙ্গলের ‘আচঁল’ শিরনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রচারিত এটিএন বাংলার একটি বিশেষ প্রতিবেদনে শ্রীমঙ্গলের আচঁলকে তুলে ধরেন এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের সিলেট বুরো প্রধান মুজিবুর রহমান জকন। সেই প্রতিবেদনে আচঁল ব্যান্ডের পথচলা থেকে শুরু করে তাদের সমস্যা,বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়। এ ব্যাপারে আচঁল ব্যান্ডের ভোকাল মৌমিতার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমাদের শ্রীমঙ্গলে পূর্বেও টুইংকেল নামে একটি মেয়েদের ব্যান্ড ছিল। মফস্বল শহরে থেকে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও প্রচারের অভাবে তারা তেমন ভাবে পরিচিতি লাভ করতে পারেনি। যার কারনে ঝরে পড়ে। আমাদের আচঁল ব্যান্ডকে নিয়ে এতো আলোড়ন সৃষ্টি ও তুলে ধরার পিছনে সবচেয়ে যার অবদান বেশি তিনি হলেন আমাদের এক বড় ভাই,সংগীতপ্রেমী,এই প্রতিষ্ঠানেরই প্রাক্তন ছাত্র সাংবাদিক জীবন পাল। যিনি এই আচঁলকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে তুলে ধরার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন।যেখানে অন্যরা আচঁলকে নিয়ে হাসাহাসি করেছেন,এড়িয়ে গেছেন। এখনও তিনি বিভিন্ন ভাবে আচঁল ব্যান্ডকে বিভিন্ন সহযোগিতার পাশাপাশি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে আচঁলকে লাইভ কনসার্ট এর সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে টিভি চ্যানেল গুলোতে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে যাচ্ছেন।
ব্যান্ড লিডার নন্দিতা বলেন,আমাদের আচঁলকে এই অবস্থানে এনে দাড় করানোর পিছনে সাংবাদিক জীবন পালের অবদান সবচেয়ে বেশি।তিনি পত্রিকার মাধ্যমে আচঁলকে সারা বাংলায় পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।যার কারনে এটিএন বাংলা আমাদের এই আচঁলকে খোজে পেয়েছেন।সেজন্য সাংবাদিক জীবন পালকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানায়। আচঁল ব্যান্ডের প্রতিষ্টাতা কনক কান্তি কর পান্না জানান,যদিও আমি এই ৬ জন মেয়েদেরকে নিয়ে এই ব্যান্ড তৈরি করেছি।কিন্তু এদেরকে সারা বিশ্বে পরিচয়
করিয়ে দিতে ও তুলে ধরতে সাংবাদিক জীবন পালের অবদান সবচেয়ে বেশি।
পর্যাপ্ত সুযোগ ও তুলে ধরার সুযোগের অভাবে আমারই তৈরি টুইংকেল ব্যান্ডটি কিন্তু ঝরে পড়ে।আচঁল ব্যান্ডকে তুলে ধরতে ও এদের বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে সহায়তা করায় সাংবাদিক জীবন পালের কাছে আমি ও আমাদের আচঁল ব্যান্ড সারা
জীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। এ ব্যাপারে সাংবাদিক জীবন পালের সাথে কথা বললে তিনি জানান,ছাত্র জীবনে আমাদেরও একটা ব্যান্ড ছিল।সেই ব্যান্ড নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগের অভাবে আমাদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়।আমি
যেহেতু এখন সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত,সেই সুবাদে আমি আমার লেখনি ও পরিচিতির মাধ্যমে আচঁল ব্যান্ডকে প্রতিনিয়ত তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছি।আর মুল কথা হলো মফস্বল শহর থেকে প্রতিভা বিকাশের তেমন একটা সুযোগ
না থাকায় অনেকের প্রতিভা অগোচরে ঝরে পড়ে। কিন্তু আমি তা হতে দেইনি। আমার প্রচেষ্টার মাধ্যমে এদেরকে তুলে ধরার যথা সাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আচঁল ব্যান্ডের একটি অফিসিয়াল পেইজ আছে। যা দেখতে লগ ইন করুন:- facebook.com/acholbandsylhet
যোগাযোগের মোবাইল নং:-০১৭১৬-৭৯২৩২৬,০১৭১৪-২৯১৪৭৯
ব্যাংক একাউন্ট নং:-১৬৭.১০১.২৮৫০১