নবীগঞ্জ কলেজে দু’গ্রুপ ছাত্রের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ:আহত ১০
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
নবীগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকালে একাদশ শ্রেণীর দু’গ্রুপ ছাত্রদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত পক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে সংর্ঘষ চলাকালে বহিরাগতরা যোগ দিলে কলেজে রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘোলডুবা থেকে সিএনজি যোগে ৫ ছাত্রী কলেজে আসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে বহিরাগতদের নিয়ে কতিপয় ছাত্রনেতা কলেজের এক ছাত্রকে মারধর করে কিন্তু তার কোন সঠিক বিচার করেননি অধ্যক্ষ গোলাম আজাদ। এ ঘটনায় কলেজ উত্তোপ্ত হয়ে উঠে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একাদশ শ্রেণীর দুই গ্রুপ ছাত্রদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চলে দাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
ছাত্রদের সাথে আলাপ করে জানাযায়, গত কয়েক দিন ধরে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাদশ শ্রেণীর কিছু ছাত্র দুই গ্রুপ হয়ে যায়। এর মধ্যে এক গ্রুপের রয়েছে কাজিরবাজারের বিবিয়ানা ছাত্র কল্যান পরিষদের নেতৃবৃন্দ ওপর গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে কলেজের আশপাশ গ্রামের স্থানীয় ছাত্ররা। বিকালে পরীক্ষা শেষে বিবিয়ানা গ্রুপের রাশেম আহমেদ নামের এক ছাত্র স্থানীয় গ্রুপের ছাত্রদের সাথে চলাফেরা করতে দেখে তাকে নিষেধ করেন বিবিয়ানার ছাত্রনেতারা। এসময় রাশেমের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাশেম তার সহপাঠি স্থানীয় গ্রুপের ছাত্রদের জানালে তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় বিবিয়ানা গ্রুপের ছাত্রনেতারা বহিরাগতদের খবরদিয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কলেজে আসে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্র-ছাত্রীরা চরম আতংকে দিকবেদিক ছুটোছুটি করতে তাকে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় ব্যাপক ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে । এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয়ে যায়। খবর পেয়ে প্রথমে নবীগঞ্জ থানার এসআই আবুল খয়ের একদল পুলিশ নিয়ে কলেজে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাবাভিক করতে ব্যার্থ হয়। পরে থানার এসআই নূর মোহাম্মদ অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মুহিনুর, আজিজসহ কলেজের সিনিয়র ছাত্র নেতাদের সহযোগীতায় পরিস্থিত শান্ত করেন। এ সংঘর্ষে অন্তত ১০ ছাত্র আহত হয়। এর মধ্যে বিবিয়ানা গ্রুপের সামাউন কবির, জামিল আহমেদ এবং অপর গ্রুপের রাশেম আহমদ, শেফু মিয়াকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।