মাধবপুরে জমি নিয়ে বিরোধ : ৯ বছরে দুটি খুন
হামিদুর রহমান,মাধবপুর প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরের ভূমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় পল্লী চিকিৎসক জিয়াউদ্দিন(৫৫) খুনের ঘটনায় শিক্ষানবীশ আইনজীবি সাইফুল আলম কে প্রধান আসামি করে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৮জন কে আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ছেলে জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে শনিবার রাতেই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার রাতে গ্রেফতার শিক্ষানবীশ আইনজীবি সাইফুল আলম (২৯), আলফত আলী (৫০), মুসলিম মিয়া(৩৭), রুবিনা বেগম (৩২) কে আদালতের মাধ্যমে রোববার দুপুরে কারাগারে পাঠিয়েছে। পরিদর্শক (তদন্ত) কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, শনিবার ৬টার দিকে মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে জিয়াউদ্দিন জিরু ও মৃত আফজল আলীর ছেলে শিক্ষানবীশ আইনজীবি সাইফুল আলমের মধ্যে গত ৯ বছর ধরে একখন্ড জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে শনিবার ৬টার দিকে দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় জিয়াউদ্দিন জিরু (৫৫) মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে আসার পথে মারা যান। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে উল্লেখিত ৪ জনকে পুলিশ তাৎক্ষনিক গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এর আগে ওই জমি নিয়ে ২০০৬ সালের ২১ মার্চ নিহত জিয়াউদ্দিন জিরুর লোকজনের হামলায় স্বাস্থ্য পরিদর্শক আফজালুর রহমান নৃশংসভাবে খুন হন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী সখিনা বেগম বাদী হয়ে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আফজালুর রহমান হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জিয়া উদ্দিনের দুই ছেলে সালাউদ্দিন ও জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ বিচারিক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বাদিনীর না রাজির প্রেক্ষিতে বিচারিক আদালত এজাহারে বর্ণিত আজিজুর রহমান ফরিদ মেম্বার, আক্তার মিয়া, রফিজ উদ্দিন, বাদশা মিয়া ও নুরুল হককে খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধ আমলে নেন। এর পর থেকে আসামিদের সঙ্গে আফজালুর রহমানের ছেলে শিক্ষানবিশ আইনজীবি সাইফুল আলমের বিরোধ আরো বেড়ে উঠে। আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিরোধপূর্ন জমিতে শনিবার সাইফুল আলমের লোকজন দখলে যাওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় পল্লী চিকিৎসক জিয়া উদ্দিন জিরু খুন হন এবং আহত হন উভয় পক্ষের ১০ জন।