শাহরিয়ারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও শাবি ছাত্র শাহরিয়ার মজুমদারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ দুপুরে ওসমানী হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর ওসমানী হাসপাতাল মসজিদে জানাযার নামাজ শেষে মরদেহ নিয়ে গ্রামের কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তার ভাই ও চাচাসহ স্বজনরা। কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতেই তাকে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহমদ জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর আখালিয়ার সুরমা আবাসিক এলাকার নিজ বাসার জানালার গ্রিলের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় শাহরিয়ারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই এলাকার বি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৫৪ নম্বর বাসার ৪ তলায় মেস করে থাকতেন শাহরিয়ার ও তার বন্ধুরা।
শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্তকালে ওসমানী হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূইয়া, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ শাবি শিক্ষক, শাহরিয়ারের বন্ধু-সহপাঠী ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। এসময় তার বন্ধু-সহপাঠীদের অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
শাহরিয়ার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্য বিষয়ে অনার্স সম্পন্ন করে কিছু ড্রপ কোর্স শেষ করার জন্য ব্যস্ত ছিলেন।
তিনি শাবিপ্রবি সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক ছিলেন। এছাড়া সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সাথে শুরু থেকেই যুক্ত ছিলেন। ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার প্রতিবাদে ব্লগার এন্ড অনলাইন এক্টিভিষ্ট, সিলেট আয়োজিত মিছিলেও অংশ নেন তিনি।
ওই মিছিলে অংশ নেওয়ার পর থেকেই নতুন করে বিভিন্ন ধরণের হুমকি পাচ্ছিলেন শাহরিয়ার। এর আগে তাকে কাফনের কাপড় ও এর সঙ্গে চিরকূট পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার মৃত্যুকে রহস্যজনক হিসেবে অভিহিত করে সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেছে সিলেট গণজাগরণ মঞ্চ।
বৃহস্পতিবার রাতে শাহরিয়ারের রুমমেটরা জানান, বিকেলে তাকে রুমে রেখে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা মেসে ফিরে অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় দরজা ভেঙ্গে গ্রীলের সাথে বেল্ট দিলে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে রাত আনুমানিক ৯টায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে।