ভাষা সৈনিক নূরুল হক একজন গ্রন্থাগারিক দক্ষ সংগঠক ছিলেন
ভাষা সৈনিক গ্রন্থাগারিক আন্দোলনের পথিকৃৎ মুহম্মদ নূরুল হক এর ২৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ আয়োজিত লেখা পাঠ ও আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন-নূরুল হক একজন সংগঠক পন্ডিত ছিলেন। দেশের প্রাচীনতম সাহিত্য পত্রিকা আল-ইসলাহ তাঁর হাত ধরেই সূত্রপাত। বক্তারা আরো বলেন-নূরুল হক শুধু একজন সাহিত্যিক ছিলেন না। তিনি ছিলেন ভাষাসৈনিক গ্রন্থাগারিক ও দক্ষ সংগঠক। তাই তিনি রেখে গেছেন অসংখ্য সাহিত্যপ্রেমি। তাঁর স্বপ্নকে পুরোপুরি বাস্তবায়িত করে নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। কারন তার দার্শনিক মনের ভাবনা আমাদের উদ্বুদ্ধ করে সীমানা ছাড়িয়ে সবার জন্য কাজ করতে। ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রোজ বৃহস্পতিবার কেমুসাস সাহিত্য আসর কক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সাদেক লিপন।
নূরুল হকের ও জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- কেমুসাসের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক মানিক। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এডভোকেট সৈয়দ আশরাফ হোসেন ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী, কবি মুকুল চৌধুরী। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন- কেমুসাসের কোষাধ্যক্ষ ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত,গল্পকার সেলিম আউয়াল, কবি বাছিত ইবনে হাবিব, কবি মামুন সুলতান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট সৈয়দ আশরাফ হোসেন বলেন- নূরুল হক সমাজকে আলোকিত করার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁকে সম্মান ও জীবন থেকে শিক্ষা নেবার জন্য তাঁর জীবনী পড়া উচিত এবং আরো বড় পরিসরে জানা উচিত কারন তিনি আমাদের পরম আত্মীয়।
দ্বিতীয় পর্বে ৮৭৯ তম সাহিত্য আসরের অনুষ্ঠানে লেখা পাঠে অংশগ্রহন করেন- শামীমা কালাম, আমিনা চৌধুরী, মোয়াজ্জেম আনাম, আলাল আহমদ, সৈয়দ মুক্তদা হামিদ, ফরহাদ আহমেদ, সিরাজুল হক,হেলাল উদ্দীন দাদন, ওলিউর রহমান, শাহ ফয়সল জামাল। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মোঃ নাসির উদ্দিন। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মারুফ আহমদ । সাহিত্য আসর পরিচালনা করেন মামুন হোসেন বিলাল। সাহিত্য আসরে সেরা লেখকের পুরস্কার পান মোয়াজ্জেম আনাম। বিজ্ঞপ্তি।