জৈন্তাপুরে বির্তকিত পুলিশ কর্মকর্তা মশিউরকে প্রত্যাহার, জনমনে স্বস্থি
মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: অবশেষে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে জৈন্তাপুর মডেল থানার বির্তকিত দুর্নীতিবাজ এ.এস.আই মশিউর রহমানকে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ সুত্রে জানাযায় অনিযম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, মাদক বিক্রেতা, দাগী অপরাধীদের সাথে সখ্যতা, টাকার বিনিময়ে নিরপরাধ মানুষকে মাদক, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করা, দাগী, ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী ছেড়ে দেওয়া সহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২১ আগস্ট তাকে জৈন্তাপুর মডেল থানা হতে তাকে জেলা পুলিশ বিভাগে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। অপর একটি সুত্র জানায় ষ্ট্যান্ড রিলিজ হওয়ার পর থেকেই জৈন্তাপুর মডেল থানা থেকে নিখোঁজ রয়েছেন এ.এস.আই মশিউর। জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রতিবেদককে জানান- উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে থানার এ.এস.আই্ মশিউরকে জেলা পুলিশে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে জৈন্তাপুর মডেল থানা থেকে সিসি না নিয়ে যাওয়ায় এ.এস.আই মশিউর জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের তালিকায় এখনো নিখোঁজ দেখানো হয়েছে। এদিকে দুর্নীতিবাজ এই দারোগা প্রত্যাহারের পর জৈন্তাপুরের মানুষ স্বস্থির নিঃশ্বাস ফিরে পেয়েছে। তার ব্লাকমেইলিংয়ে শিকার এবং পাওনাদাররা টাকা ফেরত পাইতে জৈন্তাপুর মডেল থানার (ওসি তদন্তর) কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। জৈন্তাপুর মডেল থানার বির্তর্কিত ও দুর্নতিবাজ সহকারী দারোগা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তিনি টাকা পেলেই সবই করতেন। সুত্রমতে ২০১২ সালে শেষ দিকে জৈন্তাপুর মডেল থানায় যোগদানের পর থেকেই তিনি জড়িয়ে পড়েন লাগামহীন দুর্নীতিতে। গড়ে তোলেন নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেট চক্র। অপরাধ সিন্ডিকেটের সাথে নিয়ে টাকার বিনিময়ে তিনিই সবই করতেন। মাদকসহ ধৃত অপরাধী ছেড়ে দেওয়া ছিল তার নিত্যদিনের কাজ। আর নিরপারধ মানুষকে ধরে এনে মোটা অংকের টাকা দাবি করতো। টাকা না দিলে সে নিরপরাধ মানুষদের মিথ্যা মাদক আর সাজানো মামলায় আসামী করে আদালতে পাঠাতে। এলাকাবাসির কাছে মুর্তিমান ত্রাসে পরিনত হয়েছিলেন এ.এস.আই মশিউর। তার দুর্নীতির সর্বশেষ শিকার স্থানীয় গৌরি শংঙ্কর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মৃত হানিফ আলীর ছেলে দুলাল মিয়া(৩৫)। গত ২৭ জুলাই রাত আনুমানিক দেড়টায় এ.এস.আই মশিউর রহমান তাকে গৌরি শংঙ্করস্থ দুলালকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে থানায় আসে। এসময় এ.এস.আই মশিউর ৬০হাজার টাকা চাঁদা দাবি। হতদরিদ্র দুলালের পরিবারের সদস্যরা তার দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় ২৮ জুলাই সকালেই তার বিরোদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে যাহার নং- ১৩, তাং ২৭-০৭-১৫। দুলালকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে আদালতে চালান দেয় এ.এস.আই মশিউর রহমান।
সরজমিনে দেখা যায় এ ঘটনায় নিরিহ দুলালের নুন্যতম সংশ্লিষ্টতা নেই এবং মাদক সেবী কিংবা পাচারকারী নয় বরং একজন মাদক ও চোরাচালানকারীদের বিরোদ্ধে অবস্থানকারী এলাকার একজন ব্যক্তি হিসাবেই পাওয়া যায় দুলালের অবস্থান। তার দায়েরকৃত মিথ্যা সাজানো মাদক মামলার স্বাক্ষী জয়নাল ও রাশিদ আলী এ ধরণের ঘটনায় দুলালের কোন সম্পৃক্ততা ও মাদক মামলা সমন্ধে কোন কিছুই জানেন না বলে অবহিত করেন। জৈন্তাপুরে শুধু দুলাল নয় তার মতো অসংখ্য নিরিহ সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা সহ, বিভিন্ন মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছেন বির্তকিত দুর্নীতিবাজ এই দারোগা। অগণিত মানুষের কাছ থেকে ব্লাকমেইল ও প্রতারনা করে টাকা নিয়েছে বির্তকিত পুলিশ কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এ.এস.আই মশিউর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ফোন করলে পরিচয় জেনে তিনি ৫ মিনিট পর কথা বলবেন বলে ফোনটি কেটে দেন। এর পর হতে একাধিক বার বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।