তাহিরপুরে মিথ্যা মাডার মামলা থেকে মুক্তি পেল যুবলীগ নেতা
প্রতিনিধি,তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জে তাহিরপুর উপজেলায় মিথ্যা মাডার মামলায় ২২ দিন হাজত কাটার পর বেকুশল খালাস পেয়ে জেলহাজত থেকে মুক্তি পায় যুবলীগের আহবায়ক দুলাল। মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে যুবলীগ নেতা দুলাল আহমদ এলাকায় আসলে তাকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংঘঠনে নেতার্কমীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়। স্থানীয় এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানাযায়, যুবলীগ নেতা দুলালের আপন মামা উপজেলার চরগাঁও গ্রামের হাজী আহমদ আলী ও আঃ হাশিম আপন দুই ভায়ের মধ্যে র্দীঘ দিন যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে বিরুদ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বিগত ২৭ মে বিকালে বাড়ীর সীমানা সংলগ্ন সাজিনা(সাজনা) গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে আঃ হাশিমের ছেলে ইসমাইল ও হাজী আহমদ আলীর ছেলে দলিল লেখক মৃত মতিনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক র্পযায়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সর্ংঘষে বেধে যায়। এসময় সংঘর্ষে ইসমাইল ও মতিন সহ দু’পক্ষের প্রায় ৮ জন গুরতর আহত হয়। প্রায় দুই ঘন্টা পর সংর্ঘষের খবর পেয়ে দুলাল আহমদ ঘটনার স্থল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দুর চন্দ্রপুর গ্রাম থেকে ঘটনার স্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে বাদাঘাট বাজার সহ তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্র ও মতিনকে সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে দলিল লেখক মতিন মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ২৮ মে সন্ধ্যায় মারা যান। পেরে মতিনের স্ত্রী আছমা বেগম ২৯ মে বাদী হয়ে একটি কুচক্রু মহলের ইন্ধনে দুলালকে রাজনৈতিকভাবে হেও করার জন্য দুলাল তার পরিবারে ৪ সদস্য সহ ৮ জনকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় একটি মাডার মামলা দায়ের করলে গত ৪ আগষ্ট সুনামগঞ্জের একটি খাবারের হোটেল থেকে সুনামগঞ্জ ডিভি পুলিশ উত্তর বড়দল ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক দুলাল আহমদকে আটক করে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠায়। পরে যুবলীগ নেতা দুলাল আহমদ দীর্ঘ ২২ দিন জেল হাজেত কাটার পর দুলালসহ তার পরিবারের ৪ সদস্যের বিরোদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রমানীত হওয়ায় তার পরিবারের সদস্যসহ যুবলীগ নেতা দুলাল আহমদ মিথ্যা মামলা থেকে খালাশ পেয়ে ২৬ আগষ্ট জেলহাজত থেকে মুক্তি পান।