চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ার বন্যাদূর্গত এলাকায় কর্নেল অলি
এলডিপি চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম গত ২৫ ও ২৬ আগষ্ট দুইদিন ধরে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ার আংশিক উপজেলার বিভিন্ন বন্যাদূর্গত ও নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এসব এলাকার দূরবস্থা দেখে তিনি জরুরী ভিত্তিতে বাস্তুহারাদের পূনঃবাসন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বেড়িবাধ, দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষদের বিনামুল্যে খাদ্য সরবরাহ, সড়ক মেরামত, মৎস্য খামারীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা এলডিপির সভাপতি মোতাহের মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকতারুল আলম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাদশা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, চন্দনাইশের বরকল ইউনিয়ন, বরমা ইউনিয়নের পশ্চিম চর বরমা, বৈলতলী ইউনিয়নের জাফরাবাদ, বশরত নগর ও দোহাজারী ইউনিয়নের চাগাচর এবং সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর কালিয়াইশ দফায় দফায় চার বারের ঘটে যাওয়া বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। বন্যার কারণে এসব এলাকায় শতাধিক পরিবাারের ঘরবাড়ি, বসতভিটা, বিস্তীর্ণ ফসলী জমি, রাস্তাঘাট বিলিন হয়ে যায়। লোকজন অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেকেই সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। সাধারণ গরীব ও কেটে খাওয়া দিনমজুররা কাজের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। মৎস্যঘের পানিতে তলিয়ে গিয়ে মাছ পানিতে ভেসে যাওয়ায় মৎস্য খামারের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামো, রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে কোন কোন জায়গায় নিশ্চিন্ন হয়ে গেছে। এসব এলাকায় গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেটে যাওয়াও এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের পশ্চিম চর বরমা গ্রামটি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। এখনো শঙ্খের প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙ্গন রুদ্র রূপ নিয়েছে। এক হাজারেরও অধিক পরিবার ভাঙ্গনের ঝুঁকির মুখে রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি