প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম : পনের শিক্ষকের হাইকোর্টে রিট
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার রেজিষ্টারড (সরকারীকৃত) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা প্রার্থনা করে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার অমল কুমার চান্দা ও সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের চানপুরের বাসিন্দা রোকশানা বেগম সহ মোট ১৫ জন মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।
আদালত দরখাস্তকৃতদের পিটিশন গ্রহণ করে শূন্য পদে নিয়োগদানের আদেশ কেন দেয়া হবে না তদমর্মে সরকারের উপর রুল নিশি জারী করেন। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের দ্বৈত বেঞ্চে শুনানী শেষে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীলকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে উক্ত রুলের জবাব দিতে আদেশ প্রদান করেন।
সরকার কর্তৃক ২০০৯ সালের ১০ জুন ও ২০১০ সালের ২ মের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অমল কুমার চান্দা ও রোকশানা বেগমসহ সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১৫ জন দরখাস্তকারী তৎকালীন রেজিঃকৃত বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদনক্রমে সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা নানা কারণে তাদেরকে নিয়োগ না দিয়ে মেধা তালিকায় নিম্ন পর্যায়ের প্রার্থীদের নিয়োগ দেন।
এ ঘটনায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে বার বার যোগাযোগ করেও নিয়োগ না পেয়ে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার ১৫ জন প্রার্থী হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন। যার নং ৬৮৬৮/১৫। গত ৯ জুলাই দরখাস্থকারীদের পক্ষে উক্ত রিটের শুনানী করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিষ্টার শাহীন আহমদ। শুনানীকালে ব্যারিষ্টার শাহীন আহমেদ বলেন, রিটকারীরা মেধা তালিকার স্থান পাওয়া স্বত্বেও সরকারী নীতিমালা ভঙ্গ করে তাদেরকে সরকারীকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শুন্যপদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। অথচ নতুন করে এসব পদের জন্য সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে।
যার ফলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দরখাস্তকারীদের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। যা সরকারের অবহেলা, বেআইনী এবং আইন প্রদত্ত ক্ষমতা বহির্ভূত। আদালত শুনানী শেষে দরখাস্তকারীদেরকে সরকারীকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুন্যপদে নিয়োগদানের আদেশ কেন দেয়া হবে না তদমর্মে সরকারের উপর রুল নিশি জারী করেন। রিট পিটিশনকারীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরীক্ষণ ইউনিট গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে বিবাদী করেন। একই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আরো একজন পৃথক রিট দায়ের করেন। যার নং ৭০৯০/২০১৫।