জৈন্তাপুরে শফিক মিয়ার উপর সন্ত্রাসী হামলার ১ সাপ্তাহেও মামলা নেয়নিপুলিশ
আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটের জৈন্তাপুরে এক ব্যাক্তিকে হত্যা করতে ভাড়াটি খুনি দল অন্য এক দিনমজুরের উপর অতর্কিত হামলা করলে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনাটি গত ১৪ই জুন ২০১৫ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১২.৩০টার সময় জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের কহাইগড় গ্রামে ঘটে। এ ব্যাপারে আহত ব্যক্তির চাচা আজমল আলী বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের এক সাপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে মামলাটি এখন পর্যন্ত রেকর্ড না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা যায় গ্রামের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মোস্তফা কামাল গংদের সাথে গ্রামবাসীর বিরোধ চলছে। গ্রামবাসীর পক্ষে রফিক আহমদ রাস্তা রক্ষায় এগিয়ে আসায় এ নিয়ে মোস্তাফা কামাল গং এর টার্গেটে শিকার হন রফিক আহমদ। রফিক আহমদকে হত্যার উদ্দেশে মাস্তফা কামাল একদল খুনি ১৪ই জুন ২৭ রমজান রাত ১২.৩০টার সময় রফিক আহমদ চিকনাগুল বাজারে তাহার ফার্মেসী বন্ধ করে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষমান অবস্থায় তাকে খুনিরা অনুসরন করে এসময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে তিনি বাড়ীর পথে রওনা দিলে বিরোধীয় রাস্তার দিকে না গিয়ে অন্য রাস্তা ব্যবহার করেন। আর এ রাস্তা দিয়ে দিনমজুর শফিক মিয়া তাহার বাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে ভাড়াটে খুনিরা রফিক আহমদ মনে করে শফিক মিয়াকে উপর্যোপরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তাকে মৃত ভেবে হামলাকারীরা কৌশলে সড়ক দূর্ঘটনায়র শিকার হয়েছে বলে প্রচার করে এবং সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। শফিক মিয়া ওসমানী হাসপাতালের ৩য় তলার ১১ নং ওয়ার্ডের ৫নং বেডে। তার জ্ঞান ফিরে এসেছে এবং হামলাকারীদের মধ্যে মোস্তাফা কামালের ভাগ্নে রাজন কে সে চিনতে পেরেছে। পুরো ঘটনার বর্ণনা গেয়ে শফিক মিয়ার চাচা আজমল মিয়া বলেন, জৈন্তাপুর থানায় অভিযোগের পরও আসামী ধরাতো দূরের কথা মামলাটি রেকর্ডই হয়নি। এনিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা ব্যাপী তুমুল প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি হয়েছে। গ্রামবাসী আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।