এসএমপি কর্মকর্তা রোকন উদ্দিনের ব্যাতিক্রমধর্মী উদ্যোগ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ মো. বাহার উদ্দিন। এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে সংসার চালাতেন। স্বপ্ন ছিল ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। কিন্তু তা হয়ে উঠার আগেই পরিবারের উপার্জনশীল ৩২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি শরীরের শক্তি হারিয়ে ফেলেন। বাঁকা হতে থাকে হাত ও পা। কাজ করে না কিছুই। রূপ ধারণ করে প্রতিবন্ধীর। আর এ চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৩২ লাখ টাকা।
খবরটি নজরে আসে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এস এম রোকন উদ্দিনের। তিনি অসহায় এ প্রতিবন্ধীকে সাধ্যমতো সহায়তার উদ্যোগ নেন। এরই মধ্যে রবিবার তার অফিসে নগদ এক লাখ ৫৯ হাজার টাকা তুলে দেন বাহার উদ্দিনের হাতে।
জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হন কানাইঘাট উপজেলার বানিগ্রামের মৃত আবদুল গনির পুত্র বাহার। এরপর ধরা পড়ে পোলিও রোগ। একে একে হাত ও পা বাঁকা হতে থাকে এবং হারিয়ে ফেলেন শক্তি। প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে তার চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা দেয়া হয়। তবে সুস্থ না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপলো হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
আর এ জন্য বর্তমানে প্রয়োজন ৩২ লাখ টাকা। কিন্তু এ টাকা বাহার উদ্দিনের পক্ষে কোন ভাবেই ব্যয় করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরে হৃদয়বান ব্যক্তিরা তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসছেন। এ খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম রোকন উদ্দিনও সাহায্যের উদ্যোগ নেন।
তার উদ্যোগে ব্যক্তিগত ছাড়াও হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংগৃহীত এক লাখ ৫৯ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয় অসহায় বাহারের হাতে।