ফিৎরার মূল্য নির্ধারণে জালালাবাদ ইমাম সমিতির সভা অনুষ্ঠিত
বিগত ১ লা জুলাই ২০১৫ইং বাদ এশা এবছর সিলেট শহর ও শহরতলির জন্য নগদ টাকা হিসাবে ফিৎরার পরিমাণ নির্ধারণের লক্ষ্যে জালালাবাদ ইমাম সমিতির এক অধিবেশন নগরীর জিন্দাবাজারস্থ বায়তুল আমান জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দীন আহমদ। উক্ত সভায় আলোচনা ও পর্যালোচনার পর মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ জাকারিয়া, মাওলানা মুফতী রশীদ আহমদ, মাওলানা মুফতী মুহি উদ্দীন, মাওলানা মুহিব্বুর রহমান ও মাওলানা হুসাইন আহমদকে বাজার যাচাই করে ফিৎরার মূল্য নির্ধারণ করার দায়িত্ব দেয়া হয়। সে মতে জালালাবাদ ইমাম সমিতি সাদাক্বাতুল ফিৎর এর সর্ব নিু হার জন প্রতি ৫৫ টাকা আর সর্বোচ্চ ৯৯০ টাকা ধার্য্য করে। জালালাবাদ ইমাম সমিতির বক্তব্য হলো- নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নারী-পুরুষ সকলের উপর সাদাক্বাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। নাবালেগ সন্তানদের পক্ষ থেকে নেসাবের মালিক পিতার উপর সাদাক্বাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হলেও যারা বিনাকষ্টে সাদাক্বাতুল ফিতর আদায় করতে পারেন তাদের জন্য ফিৎরা আদায় করা ভাল। কেননা, ফিৎরার মাধ্যমে রোযার ত্রুটি বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণ হয়। সাদাক্বাতুল ফিতর গম বা আটা, যব, খেজুর ও কিসমিস দ্বারা আদায় করা যায়। গম বা আটা অর্ধ সা’ সমান ১কেজি ৬৫০ গ্রাম প্রায়। আর যব খেজুর কিসমিস এক সা’ সমান ৩ কেজি ৩০০গ্রাম প্রায়, আদায় করতে হয়। তবে অবস্থা বিবেচনায় উপরোক্ত পন্যাদি না দিয়ে এর মূল্য আদায় করা উত্তম। অনুরূপভাবে নগদ টাকা না দিয়ে সমমূল্যের অন্য কোন দ্রব্য কাপড়, ধান, চাউল ইত্যাদি দেওয়াও উত্তম হবে না। সেমতে গম বা আটা অর্ধ সা’এর মূল্য হিসেবে ফিৎরার পরিমাণ হবে প্রতি কেজি ৩৩টাকা দরে জন প্রতি ৫৫/- টাকা। আর খেজুরের হিসাবে ১০০ টাকা দরে এক সা’সমান ৩কেজি ৩০০গ্রাম প্রায়, জন প্রতি ৩৩০/- টাকা। কিসমিস হিসাবে ৩০০টাকা কেজির দরে জন প্রতি ৯৯০/- টাকা উপরোল্লেখিত যে কোন একটি পণ্যের মূল্য হিসাবে সাদাক্বাতুল ফিতর আদায় করা জায়েজ হলেও সমাজে বিত্তবান হিসেবে পরিগণিত ব্যক্তিদের জন্য বিত্ত্ব অনুপাতে যথাক্রমে খেজুর ও কিসমিস এর মধ্য থেকে যে কোন একটার মুল্য হিসাবে সাদাক্বাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম হবে।
ফিৎরা ঈদের জামাতের আগে বা পরে যে কোন সময় আদায় করা জায়েজ হলেও ঈদের জামাতের আগেই আদায় করা ভাল। জালালাবাদ ইমাম সমিতির সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন-সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ক্বারী মুজ্জাম্মিল হুসাইন চৌধুরী, সহ-সভাপতি মাওলানা ক্বারী সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা হাফিজ শমসুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহিব্বুর রহমান মিটিপুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হুসাইন আহমদ, মাওলানা নূরুল হক, মাওলানা আজমুতুল্লাহ, মাওলানা মুফতী মুহিউদ্দীন, মাওলানা মুক্বাদ্দাস, মাওলানা বদরুল ইসলাম, মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা শামসুদ্দীন মুহাম্মদ ইলিয়াস, মাওলানা আমজাদ হোসাইন, মাওলানা আব্দুশ শাকুর, মাওলানা এমদাদুল হক, মাওলানা হারুনুর রশিদ, মাওলানা হাফিজ শরীফ উদ্দীন, মাওলানা গোলাম মস্তফা, মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা হাফিজ আব্দুল ওয়াদুদ, মাওলানা সায়ফুল আলম প্রমুখ।
উপরোক্ত বক্তব্যের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেন, জামেয়া ক্বাসিমুল উলূম দরগাহে হযরত শাহজালাল রহ. এর মুহতামিম ও মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতী আবুল কালাম যাকারিয়া , জামেয়া নূরীয়া ইসলামিয়া ভার্থখলা সিলেট এর শায়খুল হাদীস ও মুফতী মাওলানা রফিকুল হক্ব থুবাঙ্গী, জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার সিলেট-এর মাওলানা মুফতী শফিকুর রহমান, জামেয়া মদীনাতুল উলূম দারুস সালাম এর মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ যাকারিয়া, জামেয়া হোসাইনিয়া মীরবক্সটুলা নয়াসড়ক, সিলেট এর মাওলানা মুফতী মাহবুবুর রহমান, জামেয়া মাহমুদিয়া সোবহানীঘাট, সিলেট এর মাওলানা মুফতী রাশেদ আহমদ, ইক্বরা বাংলাদেশ সিলেট শাখার পরিচালক মওলানা মুফতী রশিদ আহমদ (মক্ববুল) বিজ্ঞপ্তি